কৃষিশিল্প-বানিজ্য

এবার বেড়েছে ডালের দাম

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: প্রতিদিনই কোনো না কোনো নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এ ধারাবাহিকতায় এবার বেড়েছে মসুর ডালের দাম। মোটা, সরু ও মাঝারি দানার মসুর ডালের দাম কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা করে বেড়েছে।

গত সপ্তাহেও পেঁয়াজ-রসুন-তেলের সঙ্গে বেড়েছিল মসুর ডালের দাম। আগে মোটা দানার মসুর ডাল বিক্রি হতো ১০০-১০৫ টাকা। চলতি সপ্তাহে মোটা দানার মসুর ডাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১১৫ টাকা।

কেবল মোটা দানা নয়, গত সপ্তাহে যেখানে সরু দানার মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে এসে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা। একইভাবে দাম বেড়েছে মাঝারি দানার মসুর ডালেও। তবে এ হিসাব টিসিবির মূল্য তালিকানুযায়ী। সরেজমিনে রাজধানীর বাজারগুলোতে মসুর ডালের দাম আরও বেশি দেখা যায়।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) শান্তিনগর কাঁচাবাজারে বাজার করতে এসেছিলেন সাঈমা আখতার। পেশায় তিনি একজন গৃহিণী। তিনি বলেন, আমি গত সপ্তাহেও ডাল কিনেছি ১৩০ টাকায়। আজকে ডাল কিনতে হচ্ছে ১৪০ টাকায়। কোন জিনিসটার দাম কমছে বলেন। আমরা যারা মধ্যবিত্ত তারা যদি ডাল-ভাত খেয়েও টিকে থাকতে চায়, সে উপায়ও নেই।

সকালে মতিঝিল এজিবি কলোনিতে বাজার করতে আসেন স্কুল শিক্ষক আবুল হোসেন। তিনি বলেন, এসেছিলাম সরু মসুর ডাল কিনতে, দাম শুনে মোটা দানারটা কিনে নিয়ে যাচ্ছি। টিকে থাকতে হবে তো। যারা উচ্চবিত্ত তাদের চিন্তা নেই। যারা নিম্নবিত্ত তাদের জন্য টিসিবি আছে। আমরা যারা মধ্যবিত্ত ছা-পোষা মানুষ, তাদের জন্য কী আছে বলুন।

একই কথা বললেন রাফি রহমান। বাজার করতে এসেছিলেন চামেলীবাগ কাঁচাবাজারে। তিনি বলেন, বাজারে আসলে দাম শুনে ইচ্ছা হয় না কিছু কিনি। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। সে তুলনায় আমাদের আয় বাড়ছে না। ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকাও এখন কষ্টকর।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডালের দাম কেন বেড়ে গেল এমন প্রশ্নের জবাবে বাড্ডা কাঁচাবাজারের চৌধুরী স্টোরের মালিক রওশন হাকিম বলেন, পাইকারি বাজারে ডালের দাম বেড়ে গেছে। তবে যারা ৫ কেজির ওপরে ডাল কিনছেন তাদের কাছে আমরা ১৩৫ টাকা করেই রাখছি। এর নিচে যারা কিনছেন তাদের থেকে রাখছি ১৪০ টাকা কেজি।

এদিকে গমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়ে গেছে আটার দাম। কদিন আগেও ২ কেজি প্যাকেটজাত আটার দাম ছিল ৯০ টাকা। এখন সেই দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০-১০৫ টাকায়। কেবল আটা নয়, দাম বেড়েছে গমজাত অন্যান্য পণ্যের।

ঈদের আগেও ফ্যামিলি প্যাক নুডুলসের দাম ছিল ২০০ টাকা। এখন দাম বেড়ে হয়েছে ২১৫ টাকা। এ ছাড়াও ৪০০ গ্রামের দেশি পাস্তার একটি প্যাকেটের দাম ছিল ৬৫ টাকা। সেটি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা করে।

টিসিবির হিসাবে, ঢাকার বাজারে তিন দিনের ব্যবধানে দেশি রসুনের দাম ছিল সর্বোচ্চ ৯০ টাকা। সেটি এখন বেড়ে হয়েছে ১২০ টাকা। আর আমদানি করা রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close