শিল্প-বানিজ্য
এবার পেনশন সুবিধা পাবেন বেসরকারি চাকরিজীবীরাও
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ পেনশনের ব্যবস্থা সাধারণত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য হলেও এবার থেকে বেসরকারি চাকরিজীবীরাও পাবেন পেনশনের সুবিধা। আর তাই অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গঠিত হতে যাচ্ছে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার তহবিল। চাকরিজীবী ও নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এই তহবিলে অর্থ দেবেন। অর্থের পরিমাণও সমান হবে।
সরকারি ও বেসরকারিখাতে একইভাবে এই তহবিল গঠনের বিধান রেখে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এই নীতিমালা তৈরির কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটি। চলতি মাসের শেষে খসড়া নীতিমালা অর্থ সচিবের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নীতিমালা প্রণয়নে গঠিত ৭ সদস্যের কমিটির প্রধান অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আজিজুল আলম বলছেন, পেনশন কাঠামোর একটি খসড়া আমরা তৈরি করেছি। বিভিন্ন দেশের পেনশন কাঠামো ও আইনি বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি এ মাসের শেষে নীতিমালার খসড়া অর্থ সচিবের কাছে জমা দিতে পারবো। খসড়া হওয়ার পর সরকার-বেসরকারি খাত সংশ্লিষ্ট ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসে নীতিমালা চূড়ান্ত করবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার খসড়ায় পেনশন তহবিল অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে করার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ চাকরিজীবী ও নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এ তহবিলে অর্থ দেবে। এর পরিমাণ চাকরিজীবীর মূল বেতনের ১০ শতাংশ হতে পারে। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষও সমপরিমাণ অর্থ দেবে।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, পেনশন নীতিমালা চূড়ান্ত করার পর প্রথমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এর আওতায় আনা হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবী ও অন্যান্যদের এ পেনশনের আওতায় আনা হবে। এতে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের সার্বজনীন পেনশনের আওতায় আনতে সময় লাগবে অন্তত তিন বছর।
সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতির আওতায় বেসরকারি পর্যায়ে প্রাথমিকভাবে বড় বড় করপোরেট হাউস, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে কর্মরত চাকরিজীবীদের আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য খাতের প্রতিষ্ঠানকে আনার কথা বলা হয়েছে।