প্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য
এবারের বাজেট অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের, ছাড় দিয়ে অর্থ আনার ছক
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ (কোভিড ১৯) করোনার আক্রমণে বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতি। বৈশ্বিক এই মহামারিতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চরম আঘাত পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে টিকে থাকা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সামনে রেখে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের শিরোনাম-‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে দুপুরে মন্ত্রিসভা প্রস্তাবিত বাজেটে অনুমোদন দেয়। পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
১৯৭১ সালে মাত্র চার হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার অর্থনীতি নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। এর পরের বছর ১৯৭২ সালে প্রথম ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের জন্য ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। সেই বাংলাদেশ এখন অনেক দূর এগিয়েছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার ৪৯ বছরের ব্যবধানে ৭২২ গুণের চেয়েও বেশি বড় বাজেট নিয়ে জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করলেন অর্থমন্ত্রী। এটি টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকার ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট উপস্থাপন। করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে একদিকে খাদ্য, স্বাস্থ্যসহ মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যয় বাড়ানোর চাপ, অন্যদিকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হওয়ায় আয়ের পথও সঙ্কুচিত হয়ে গেছে। অন্যদিকে আয় কমে যাওয়া বিশালসংখ্যক করদাতা এবং ভোক্তার ওপর করের চাপ কমানোর চাপও রয়েছে। এমন বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের বাজেট প্রস্তাব দিলেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেটে দেশীয় শিল্প রক্ষায় করহার হ্রাস, কর ছাড়, আইনকানুন সহজ করাসহ রাজস্ব খাতে সংস্কারের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি বিনিয়োগ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চাল, ডালসহ নিত্যপণ্যের কর ছাড়ের প্রস্তাবের পাশাপাশি অর্থ আদায়ে আমদানি-নির্ভর ও ভোগবিলাসী পণ্যে করের বোঝা বাড়ানো হয়েছে। একদিকে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে, অন্যদিকে অর্থপাচার বিষয়ে কঠোর হয়েছে সরকার রাখা হয়েছে জরিমানার বিধান। বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে যে জরুরি এবং অপ্রত্যাশিত খরচ দেখা দিয়েছে তা মেটাতে এবং অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশায় আগামী বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি অন্যান্য উৎস থেকে ৪৮ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগামী বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে এ ঘাটতি মেটানো হবে। এ হার গত বাজেটে ছিল জিডিপির ৫ শতাংশ। কিন্তু এবার তা ৬ শতাংশ ছুঁয়েছে।’ করোনায় রাজস্ব আয়ে নাজুক পরিস্থিতির কারণে আয় ও ব্যয়ের এ বিশাল ফারাকের বাজেটে ঘাটতির মেটাতে ঋণের দিকে ঝুঁকবেন বলে পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী।
আয় ও ব্যয়ের এ বিশাল ফারাকের বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৬ শতাংশ। এ বিশাল ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভর করবে, অংকে যা ৮০ হাজার ১৭ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে (সংশোধিত) এর পরিমাণ ৫২ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা।
ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকার এক লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। অভ্যন্তরীণ উৎস অর্থাৎ ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়ে ঘাটতির বড় একটি অংশ পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আসন্ন অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে ৮৪ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। এছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ২০ হাজার ও অন্যান্য ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা নিতে চায় সরকার।
এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, সরকারের ব্যাংকঋণ নির্ভরতা বেসরকারি খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তিনি বলেন, ঘাটতি পূরণে যে পরিমাণ অর্থ ব্যাংক থেকে নেয়ার কথা বলা হয়েছে, ওই পরিমাণ অর্থ ব্যাংকিং খাত থেকে নেয়া হলে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা ঋণ পাবেন না। এতে দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে।
বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থমন্ত্রী বলেন, ইকোনমিস্ট (ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট) গত ২ মে ৬৬টি উদীয়মান সবল অর্থনীতির দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে নবম স্থানে রেখেছে। তাদের হিসাবে আমরা অন্যদের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছি। তবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির এ লক্ষ্য বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করছেন মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম।
প্রস্তাবিত বাজেটে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন কতটুকু সংগতিপূর্ণ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)। বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ আরও বেশি বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছে তারা। সেই সঙ্গে, রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তা খুব বাস্তবসম্মত নয় বলেও মনে করছে সানেম।
এদিকে নতুন অর্থবছরের (২০২০-২১) জন্য প্রস্তাবিত যে বাজেট দেয়া হয়েছে তাতে বাস্তব অবস্থার প্রতিফলন হয়নি বলে অভিমত দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমাদের মনে হয়েছে যে, অনুমিত এ বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে যেটা কাজ করেছে সেটা বাস্তব অবস্থার প্রতিফলন করে না। কারণ সম্পদ আহরণ থেকে সম্পদ ব্যয়ের যেসব প্রস্তাব আমরা দেখেছি, তাতে বিজনেসের অ্যাজ ইউজুয়াল চিত্র ফুটে উঠেছে।’
‘মনে হয়েছে আমরা খুব দ্রুত কোভিড-১৯ থেকে পরিত্রাণ পাব এবং অর্থনীতি তার পুরোনো ধাঁচে ফেরত যাবে। কিন্তু বর্তমানে যে স্বাস্থ্যঝুঁকি আমরা দেখছি তাতে এত দ্রুত কোভিড থেকে পরিত্রাণ পাব বলে মনে হচ্ছে না। কোভিডের এই চলমান অভিঘাত আমরা স্বাস্থ্যখাতে, সামাজিক খাতে দেখছি। আমরা একটা মানবিক ঝুঁকি হিসেবে দেখছি, অর্থনৈতিক ঝুঁকি তো আছেই। এই ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য বাজেটে যে ধরনের কাঠামো থাকা দরকার আমাদের মনে হয়েছে, সেটা পরিপালন করা হয়নি’, বলেন সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো।
তিনি বলেন, ‘বাজেটে তিন লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার সম্পদ আহরণের প্রাক্কলন করা হয়েছে। চলমান সংশোধিত বাজেটে সম্পদ আহরণের কথা বলা হয়েছে তিন লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। এটা তার থেকে হয়তো ৯ শতাংশ বেশি হতে পারে। কিন্তু প্রকৃত যে আয় হবে বলে আমরা ধারণা করছি, সেটা আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি এ বছর হবে না। সেটা যদি বিবেচনায় নেয়া হয় তাহলে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৫০ শতাংশের মতো বেশি সম্পদ আহরণের একটা লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে।’
করোনা ভাইরাসজনিত সৃষ্ট সংকটের কারণে পরিবর্তিত অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনা এবং মানুষকে নতুনভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টির জন্য নতুন অর্থবছরের (২০২০-২১) বাজেটে অপ্রদর্শিত টাকা বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এতে করে বিনিয়োগ বাড়বে। এদিকে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজরে তালিকাভুক্ত নয়-এমন কোম্পানির করহার ২ দশমিক ৫০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট কর হ্রাসসহ বিনিয়োগ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যা অর্জন করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ব্যবসাবান্ধব এ বাজেট বাস্তবায়ন হলে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের যে ক্ষতি, তা পুষিয়ে নেয়া যাবে বলে মনে করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
আসছে বাজেটে সরকারের আয়
সরকারের মূল আয় হয় রাজস্ব আহরণের মধ্য দিয়ে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এটি আহরণ করে। এনবিআর-বহির্ভূত কিছু কর ও কর ব্যতীত কিছু আয়ও হয়। আসছে বাজেটে সরকারের মোট রাজস্ব প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া আগামী অর্থবছরে সরকার বৈদেশিক অনুদান পাবে চার হাজার ১৩ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে সরকারের আয় হবে তিন লাখ ৮২ হাজার ১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হচ্ছে তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর-বহির্ভূত করসমূহ থেকে রাজস্বে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া কর ব্যতীত রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
এদিকে চলমান করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট অচলাবস্থার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আহরণে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এতে সংশোধিত আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৪৮ হাজার ৬৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআর আহরণ করবে তিন লাখ ৫০০ কোটি টাকা এবং এনবিআর-বহির্ভূত উৎস থেকে আসবে ৪৭ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা।
আসছে বাজেটে সরকারের মোট ব্যয়
প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার মোট পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। চলতি বাজেটে যা ছিল পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। আবার সংশোধিত বাজেটে সেটি কমিয়ে করা হয় পাঁচ লাখ ১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার পরিচালন ব্যয় বাবদ খরচ ধরা হয়েছে তিন লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ প্রস্তাব করা হয়েছে ৫৮ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। সম্পদ সংগ্রহ, ভূমি অধিগ্রহণ, নির্মাণ ও পূর্ত কাজ, শেয়ার ও ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ ইত্যাদি পরিচালন বাবদ মূলধন ব্যয় হিসেবে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৬ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। খাদ্য হিসাব বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ৫৬৭ কোটি টাকা। সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে ঋণ ও অগ্রিম (নিট) বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ হাজার ২১০ কোটি টাকা।
এছাড়া উন্নয়ন ব্যয় বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। এডিপি-বহির্ভূত বিশেষ প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছে চার হাজার ৭২২ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত নয় এবং নিজস্ব উৎসের রাজস্ব থেকে অর্থায়নকৃত উন্নয়নমূলক কর্মসূচি তথা স্কিম বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই হাজার ৫২২ কোটি টাকা। এছাড়া এডিপি-বহির্ভূত কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা।
/এন এইচ