দেশজুড়েশিল্প-বানিজ্য
এক যুগে মূল্যস্ফীতির সবোর্চ্চ রের্কড
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: অর্থনীতির সংকটময় মূহুর্তে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিরূপ প্রভাবের কারণে চলতি অর্থবছরের মে মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশে গড়ে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে, যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গ্রামে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি ৯.৮৫ শতাংশ আর শহরে এই হার ৯.৯৭ শতাংশ। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি।
সোমবার(৫ জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া মে মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমনটা বলা হয়েছে।
তবে এর আগে সরকার প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সরকার গড়ে ৬ শতাংশে মূল্যস্ফীতিকে ধরে রাখার লক্ষমাত্রা দিয়েছিল। বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম স মুস্তফা কামাল মূল্যস্ফীতি নিয়ে আশংঙ্কার কথা বলেছিলেন।
বিবিএসের তথ্য বলেছে, সর্বশেষ ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.৮৬ শতাংশ। এর পরেই নভেম্বর মাসে এক লাফে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৮.৮৫ শতাংশে আসে।
ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি হয় ৮.৭১ শতাংশ। চলতি বছরের শুরু থেকে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ শতাংশের ওপর। জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি হয় ৮.৫৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৮.৭৮ শতাংশ, মার্চে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ঘর পেরিয়ে দাঁড়ায় ৯.৩৩ শতাংশ।
সর্বশেষ এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৯.২৪ শতাংশ।
সংস্থাটির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মে মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ হয়েছে। গত মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস।
এছাড়া খাদ্য বহির্ভূত- বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়তি ছিলো।
মে মাসে এখাতে মূল্যস্ফীতিরে হার বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ, গত মাসে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ ছিল।