বিশ্বজুড়ে
এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে ২৫ নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ যুক্তরাজ্যে একাধিক নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক মনীশ শাহ (৫০)। ক্যানসার পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে স্পর্শকাতর পরীক্ষা ও অন্তরঙ্গ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে ২৫ জনকে যৌন নিপীড়নের কুকীর্তির কথা ফাঁস হয়। লন্ডনের জেনারেল প্র্যাকটিশনার (জিপি) হিসেবে কাজ করার সময় তিনি এসব নির্যাতন চালান।
আদালতের তথ্য অনুযায়ী, মনীশ শাহ তাঁর কাছে পরামর্শের জন্য আসা নারীদের হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার গল্প শুনিয়ে ভয় সৃষ্টি করতেন। এরপর তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে নানা সুযোগ নিতেন।
আদালতে শুনানিতে আইনজীবী কেট বেক্স বলেন, নিজের অবস্থানের সুযোগ নিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর অংশে হাত দিতেন ওই ব্যক্তি। অনেক ক্ষেত্রে এসব পরীক্ষার প্রয়োজন না পড়লেও তিনি ব্যক্তিগত সন্তুষ্টির জন্য এসব কাজ করতেন।
২০০৯ সালের মে থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত ৫ বছরের মধ্যে ইস্ট লন্ডনের মাউনি মেডিকেল সেন্টারে তিনি অন্তত ৬ জন রোগীকে নিপীড়ন করেছেন। এঁদের মধ্যে একজনের বয়স ১১ বছর।
আদালত বলেছেন, এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত ১৭টি অভিযোগ এসেছে। সব মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মোট ২৫টি অভিযোগ দাঁড়াল। ২০২০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারির আগে আদালত রায় মুলতবি রেখেছেন।
মনীশ শাহ তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর আইনজীবী জো জনসন বলেছেন, ওই সময় মনীশ সতর্ক, অনিরাপদ ও অনেকটাই অদক্ষ চিকিৎসক ছিলেন।
তবে আদালতে আইনজীবীরা বলেছেন, মনীশ ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের নীতিমালা না মেনে কাজ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে রোগীকে চুমু দেওয়া, আদর করা ও কারও প্রতি আন্তরিকতার নামে তাঁকে বিশেষভাবে ডাকার মতো অভিযোগও রয়েছে।
২০১৩ সালে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আসার পর থেকে চিকিৎসক হিসেবে বরখাস্ত করা হয় মনীশকে। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।