ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বিশ্বব্যাপী এখন আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের তাণ্ডবে দিশেহারা গোটা বিশ্ব। এর তাণ্ডবে ইতোমধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত ৬ লাখ ৭৭ হাজারেরও বেশি।
এছাড়া এর ধ্বংসযজ্ঞে বেসামাল ইউরোপের ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি দেশ। ইতালিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২২ হাজার ১৭০ জনের, স্পেনে ১৯ হাজার ৯১৫ ও ফ্রান্সে ১৭ হাজার ৯২০।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ইতোমধ্যে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রতি মুহূর্তে এই ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে শিকার হচ্ছে বহু সংখ্যক মানুষ।
এই ভাইরাস এতটাই ভয়ঙ্কর যে মাত্র একবার মুদি দোকানে গিয়েই এর শিকার হয়েছে কেউ কেউ। এমন একটি ঘটনা উঠে এসেছে গণমাধ্যমে।
সবকিছু ভালোভাবেই চলছিল ৩১ বছর বয়সী বেনজি হা-এর। কিন্তু একবার মুদির দোকান থেকে ফেরার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে থাকতে হয়েছে তাকে।
৩১ বছর বয়সী এই যুবক বরাবরই স্বাস্থ্যবান। যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার জেরে কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘরেই ছিলেন তিনি। বাড়ির বাইরে স্বল্প সময়ের জন্য বের হলেও মাস্ক পরতেন।
একবার মুদির দোকানে যাওয়ার একদিন পর বেনজি’র কাশি শুরু হয়। পরে উচ্চমাত্রার জ্বর এবং শরীরে ব্যথা শুরু হয়। একপর্যায়ে গুরুতর অবস্থায় তাকে সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া হসপিটালে ভর্তি করা হয়। গত মাসেই তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির ড্রপলেট অন্য ব্যক্তির নাক কিংবা মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে।
তবে আক্রান্ত ব্যক্তির ড্রপলেট মাটিতেও পড়ে থাকে। সেখান থেকেও করোনাভাইরাস ছড়ায়। এজন্য বাইরে বের হওয়ার পর জুতা নিয়ে বাসায় ঢুকতে বারণ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
/আরএম