স্বাস্থ্য
উহান ফেরত অন্তঃসত্ত্বা নার্স সিএমএইচে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ চীনের উহান থেকে বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফেরা ৩১৪ জনের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা নার্সের শরীরে জ্বর থাকায় করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। রোগী কিনা সেটি নিশ্চিত না হলেও যেহেতু বিষয়টি স্পর্শকাতর তাই নার্সসহ দেশে ফেরা সবাই সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে।
৭ বাংলাদেশিকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। চীন থেকে ফেরা সবাইকে বিআরটিসির ১০টি বাসে করে আশকোনা হজক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিমান বন্দর থেকে সরাসরি ৭ জনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও প্রত্যেকের নাম আলাদা করে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেকেই যেন নিরাপদ থাকেন সেজন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
যেহেতু করোনা ভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ পেতে ১৪ দিন সময় লাগে সেজন্য তাদের ১৪ দিন নিবিড় তত্ত্বাবধায়নে রাখা হবে। এখানে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক থাকবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর মেডিকেল টিমও থাকবে। তারা জানিয়েছেন উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
ডিসেম্বরে উহানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর জানুয়ারির মাঝামাঝিতে এটি মহামারী আকার ধারণ করে। ওই সময়ে উহান শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির সরকার। এই অবস্থায় খাদ্য সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সহায়তার আবেদন জানালে উদ্যোগ নেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের দেশে ফেরাতে আলোচনা শুরু হয় চীন সরকারের সঙ্গে।
তাদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে চীনের অনুমতি পাওয়ার পরপরই ঘোষণা দেয়া হয় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তখন উহানে অবস্থানরতদের থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুকদের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করে চীনে বাংলাদেশ হাইকমিশন। সর্বশেষ ৩১৬ জন দেশে ফিরে আসবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।
তাদের ফিরিয়ে আনতে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) উহান যায় বিমানের ফ্লাইট। রাতেই তাদের নিয়ে যাত্রা করার কথা থাকলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও অভিবাসন সংক্রান্ত নানা জটিলতায় শনিবার চীনের স্থানীয় সময় সকালে ফ্লাইটটি বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করে। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, দেশে ফেরার পর তাদের ১৪ দিন আশকোনার হাজী ক্যাম্পে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর আরও সাতজনের শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকায় তাদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। কারণ, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রির বেশি হওয়া।
/আরএম