শিল্প-বানিজ্য
উদ্বোধন হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: রোববার (২১শে জানুয়ারি) দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৮তম আসরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিন চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলায় প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে বড়দের জন্য ৫০ ও শিশুদের জন্য ২৫ টাকা করে।
এর আগে ১৯৯৫ সাল থেকে যথারীতি বছরের প্রথম দিন অর্থাৎপহেলা জানুয়ারি থেকে শুরু হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ২০২৪ সালের বাণিজ্যমেলা শুরুর সময় ২০ দিন পেছানো হয়েছে। এর আগে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্যমেলা আয়োজন করা হতো। পরে ঢাকার মানুষের জনভোগান্তি কমাতে গত দুই বছর ধরে, অর্থাৎ ২০২২ সাল থেকে পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে বাণিজ্যমেলা স্থানান্তর করে সরকার। এবার সেখানে তৃতীয়বারের মতো ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা বসছে।
দেশের পণ্য প্রদর্শনীর সবচেয়ে বড় আয়োজন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি প্রতিবছর ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের তৈরি পণ্য নিয়ে আসেন এই মেলায়। গত বছর বাণিজ্যমেলায় দেশ-বিদেশের ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন ছিল।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, এবারের মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩০টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন থাকবে। যার মধ্যে বিদেশি স্টল থাকবে ১৫ থেকে ১৮টি।
এর আগে গত বছর বাণিজ্যমেলায় শতকোটি টাকার পণ্য বেচাকেনা হয়েছিল। এবছর ব্যবসা আরো ভালো হবে বলে আশা করছে মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানগুলো। মেলায় দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর, ফার্নিচার ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শিত হবে।
/এএস