আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ
ঈদ আনন্দে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঈদ আনন্দ পরিবার পরিজনের সাথে ভাগাভাগি করতে শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ছুটছেন মানুষ। তবে অনেকেই বাহন হিসেবে বেছে নিচ্ছেন ঝুঁকিপূর্ণ ট্রাক ও পিকআপ।
তীব্র গরম ও রোদকে উপেক্ষা করেই ছাদবিহীন খোলা ট্রাকে যাত্রা শুরু করেছেন গ্রামমুখী মানুষেরা ।
শুক্রবার(২৯ এপ্রিল) দুপুরে সাভারের নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে দেখা গেছে এমন চিত্র।
এদিকে বাইপাইল এসএ পরিবহনের সামনে ও শ্রীপুর বাসস্ট্র্যান্ডে যাত্রীর অপেক্ষায় ট্রাক ও পিকআপের দীর্ঘ সাড়িও বেশ চোখে পরার মত।
বাইপাইল এলাকায় দেখা যায়, কাঠফাটা রোদে বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৩৫জন নারী পুরুষ ছোট্ট একটি পিকাআপে উঠে অসহনীয় রোদের তাপ আর ভ্যাপসা গরমে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন। এরা সবাই নাটোরের যাত্রী। পিকআপের চালক আরো ৪/৫জন যাত্রির অপেক্ষায় বিলম্ব করছে। রোদ্রের তাপে আর তর সইছেনা যাত্রীদের। কান্নাকাটি করছে ছোটছোট বাচ্চারা!
পিকআপের যাত্রী আমেনা বলেন, বেতন-বোনাস অর্ধেক পেয়েছি, এই টাকা দিয়ে বাড়ির সবার জন্য কেনাকাটা করেছি। এখন যদি বাড়ি যেতে গাড়ি ভাড়া লাগে আট’শ থেকে এক হাজার টাকা তাহলে ঈদের দিন সেমাই চিনি কিনবো কিভাবে? এজন্য একটু কষ্ট হলেও তিন’শ টাকায় ট্রাকে করে নাটোর গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি।
এদিকে প্রতি ঈদ মৌসুমের মত এবারো যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া আদায় করছেন বাস কাউন্টারসহ বাসের সুপারভাইজাররা। ফলে খরচ কমাতেই রোদ আর ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে ট্রাকের বগিতে ঠায় দাঁড়িয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামের বাড়ির পথে যাত্রা শুরু করেছেন অল্প আয়ের মানুষেরা। তবে
ঈদকে সামনে রেখে বাস ভাড়া বেশি হওয়ায় কষ্ট ও ঝুঁকি নিয়েই ট্রাকে রওনা দিচ্ছেন বলে দাবি যাত্রীদের।
এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, ট্রাকে যাত্রীবহন সম্পূর্ণ অবৈধ। আমাদের টিম কাজ করে চলছে। তারা যেখানেই এমন দেখতে পাচ্ছেন সেখানেই বাঁধা দিচ্ছেন। এমন গাড়ি ডাম্পিং ও করা হচ্ছে। আমি নিজেও সড়কে দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের চোখের সামনে এমন হতে দিচ্ছিনা।
ঢাকা অর্থনীতি/এন এইচ