দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

ঈদের আগে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ  আসন্ন ঈদুল আযহার আগে মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মতাদর্শের অনুসারী নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি দেশে হামলা চালাতে পারে বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

বিষয়টিকে মাথায় রেখে দেশব্যাপী পুলিশের সব ইউনিটকে কঠোরভাবে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।

সম্প্রতি এ বিষয়ে সতর্কতা ও নির্দেশনা সম্বলিত একটি চিঠি পাঠিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।

হেডকোয়ার্টার্স সূত্র জানিয়েছে, মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব আসন্ন ঈদুল আযহাকে উপলক্ষ্য করে “বেঙ্গল উলায়াত” ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে আইএস-এর। সেজন্য তারা বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে।

এমতাবস্থায়, আইএস-এর অনুসারী নব্য জেএমবি দেশে আত্মঘাতী হামলা, বোমা হামলাসহ অন্যান্য উপায়ে নাশকতা চালাতে পারে।

তাই পুলিশের সব ইউনিটকে যথাযথ পূর্ব সতর্কতা এবং নিরাপত্তা জোরদারে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।

আগস্টে জঙ্গিদের তৎপরতা

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স) হায়দার আলী খান জানান, ইতোপূর্বে আগস্ট মাসে দেশে জঙ্গিদের লক্ষণীয় তৎপরতা দেখা গেছে দেশে। তিনি বলেন, “তাই আমরা নিরাপত্তা জোরদারে ব্যবস্থা নিয়েছি।”

পুলিশ সূত্র জানায়, জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে পুলিশের যে কোনো শাখা, বিমানবন্দর, দূতাবাস, শিয়া-আহমদিয়া উপাসনালয়, চার্চ, প্যাগোডা ও মন্দিরগুলো।

তাই উগ্রবাদী ব্যক্তি ও সংগঠনের ওপর যথাযথ নজরদারির পাশাপাশি আরও কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পুলিশের গাড়ি খালি বা পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে না রাখা, পুলিশ দপ্তরগুলোতে প্রবেশের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর নজরদারি আরোপ করা।

এছাড়াও, চেকপোস্টগুলোতে তল্লাশি বাড়ানো, সন্দেহভাজন ব্যক্তির ব্যাগ ও শরীর তল্লাশির জন্যও বলা হয়েছে।

সেইসঙ্গে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান জানান, বিশেষ দিনগুলো উপলক্ষে তারা সবসময়ই নিরাপত্তা জোরদার করেন এবং সর্বদা সতর্ক থাকেন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল রেখে যান এক পুলিশ সদস্য। ফিরে এসে তিনি মোটরসাইকেলে একটি ব্যাগ ঝোলানো দেখতে পান। ব্যাগের ভেতরে ছিল একটি বোমা সদৃশ বস্তু।

পরে খবর পেয়ে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তবে সেটি ছিল একটি নকল গ্রেনেড।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল গুলিস্তান এলাকায় পুলিশের ওপর একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছিল। ওই বছরেরই ২৬ মে মালিবাগে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসের সামনে রাখা পুলিশের একটি গাড়িতে বোমা মারা হয়েছিল।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close