দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
ইভিএমে ভোট দিয়ে প্রশংসার ঢেকুর ভোটারদের
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সকাল আটটা। ধানমন্ডিস্থ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে খণ্ড খণ্ড মানুষের জটলা। বিদ্যালয়ের ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। ভোট দিতে জন পাঁচেক ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। ভোট শুরুর প্রায় ১০ মিনিট পেরিয়ে গেলেও প্রস্তুত করা হয়নি ভোটযন্ত্র ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)।
ঘড়ির কাঁটা ৮টা ১৫ মিনিটে এলে এই কেন্দ্রে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে ভোটাররা নিজে থেকেই জানাচ্ছেন প্রতিক্রিয়া। গণমাধ্যমের কর্মীদের কাছে এসে যেচে বলছেন, ‘ভালো ভোট দিলাম। এত সুন্দর ভোট আগে কখনো দিইনি।’ তার খানিক পরে আরেকজন ভোটার এসেও একই ধরনের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।
এই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস।
তাপসের ভোট দেওয়ার শেষে দক্ষিণ সিটির ধানমন্ডিস্থ ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে গিয়েও ভোটারদের খুব একটা উপস্থিতি দেখা যায়নি।
এই কেন্দ্রে ভোট দেওয়া নিজাম উদ্দিন নামের এক ভোটারও গণমাধ্যমকর্মী জেনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের প্রশংসা করেন। নিজাম বলেন, ‘ইভিএমে ভোট নেওয়া খুব ভালো পদ্ধতি। ভোট নষ্ট হওয়ার চান্স থাকে না।’
নিজামের সঙ্গে আলাপ শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটির আরো চার থেকে পাঁচটি কেন্দ্র ঘুরে ভোটার উপস্থিতি খুব কম দেখা যায়। ভোট গ্রহণে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ভাষ্য, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।
দুই সিটি করপোরেশনে ২ হাজার ৪৬৮টি ভোট কেন্দ্রের ১৪ হাজার ৪৩৪টি ভোটকক্ষে সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
প্রথমবারের মতো দুই সিটিতেই একযোগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হচ্ছে। দুই সিটি করপোরেশনের ভোটার রয়েছেন ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭ জন, প্রার্থী রয়েছেন সাড়ে সাতশ।
উত্তরে সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৮টি এবং দক্ষিণে সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে ২৫টি।
সর্বশেষ ঢাকার দুই ভাগে ভোট হয়েছিল ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল। ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকাকে উত্তর ও দক্ষিণে ভাগের পর এটা দ্বিতীয় নির্বাচন।
/আরএম