শিক্ষা-সাহিত্য
ইসলাম ও মহানবীকে অবমাননা করায় কুবি শিক্ষার্থী আটক
কুবি প্রতিনিধি: “পৃথিবীর সকল মুসলমান সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করে, যা হযরত মুহাম্মদ (স) শিখিয়েছেন”-এমন মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভের মুখে পড়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) জয় দেব নামের এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
শনিবার (১৮ মে) যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ‘ভয়েস অব আমেরিকা’র ফেসবুক ভেরিফাইড পেইজের একটি ভিডিওবার্তায় এমন মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ঐ শিক্ষার্থী। তার বাড়ি বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীতে।
এর আগে, তীব্র ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ এই মন্তব্য স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। একের পর এক পোস্টের মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর এহেন অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা। এমতাবস্থায় তোপের মুখে পড়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী তার মন্তব্যটি মুছে ফেলেন এবং এরকম মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি হবে না বলে ক্ষমা প্রকাশ করেন। তবে তাতেও শান্ত হয়নি পরিস্থিতি।
এদিকে ইসলাম ধর্ম ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ (স)কে নিয়ে তীব্র আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত জয় দেবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ (১৯ মে) রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান তারা।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো: ইমাম বলেন, ‘অভিযুক্ত জয় দেব কুমিল্লার ঠাকুরপাড়াস্থ একটি মেসে থাকতো। সে ফেসবুকে ইসলাম ও মহানবীকে নিয়ে কটুক্তি করায় স্থানীয়রা তাকে আটক করে আমাদের খবর দেয়। আমরা আজ (১৯ মে) সকালে তাকে আটক করি। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আইনে ব্যবস্থা নিবো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আপাতত মামলা করার কোনো পদক্ষেপ নেই। এরপরও উপাচার্যের পরামর্শে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবো।’
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে ২০১৭ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া যায় জয় দেবের বিরুদ্ধে। এছাড়াও সে বিভিন্ন সময়ে অনলাইন ও অফলাইনে ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করে থাকে বলে অভিযোগ দেন শিক্ষার্থীরা।