প্রধান শিরোনামবিশ্বজুড়ে
ইসরায়েলের মতো কাশ্মিরে বসতি গড়বে ভারত, পাকিস্তানের প্রতিবাদ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ শনিবার নিউ ইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ভারতীয় কনসাল জেনারেল সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন, কাশ্মিরে ইসরায়েলের মতো বসতি তৈরির পরিকল্পনা ভারতের। এতে করে কাশ্মিরে হিন্দু গোষ্ঠী ফিরে আসতে পাবে। এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ইমরান খান এক টুইটে বলেন, ভারত সরকারের আরএসএস আদর্শের প্রতিফলন যেখানে ফ্যাসিবাদী মনোভাব স্পষ্ট হয়েছে।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ইসরায়েলের মতো করে দখলদারিত্বের পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা করলেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, এটি এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারে নরেন্দ্র মোদির ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ।
এছাড়া শুধুমাত্র ব্যবসায়িক স্বার্থের কারণে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে নীরব রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। ইমরান খান বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের আদর্শই হচ্ছে কাশ্মীরের জনগণের ওপর ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লংঘন করা আর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের নিজেদের স্বার্থের কারণে নীরব রয়েছে।
৫ আগস্ট ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই টুকরো করে দেয় দিল্লি। ওই দিন সকাল থেকে কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে নিমজ্জিত হয় দুনিয়ার ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মির উপত্যকা। এ পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানকার বিপুলসংখ্যক স্বাধীনতাপন্থী ও ভারতপন্থী রাজনৈতিক নেতাকে।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে থাকা হিন্দু পণ্ডিতদের উদ্দেশ্য করে চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি মনে করি পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে। এতে করে শরণার্থীরা ফিরতে পারবেন। জীবদ্দশাতেই আপনারা যেতে পারবেন এবং নিরাপত্তা পাবেন। কারণ বিশ্বে এমন একটি মডেল আছেই। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কেন আমরা এটা অনুসরণ করছি না। মধ্যপ্রাচ্যে এটা হয়েছে, ইসরায়েলিরা পারলে আমরাও পারবো।
বিজেপি সরকার বারবারই কাশ্মিরে হিন্দুদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছে। ১৯৯০ দশকের শুরুর দিকে সেখান থেকে পালিয়ে আসে ১ লাখেরও বেশি হিন্দু। সরকারি হিসেবে ১৯৮৯-২০০৪ সাল পর্যন্ত ২১৯ জন কাশ্মিরি পণ্ডিতকে হত্যা করা হয়েছে।
তবে কাশ্মিরে স্বাধীনতাপন্থী নেতারা সবসময়ই এই পন্ডিতদের স্বাগত জানিয়েছেন। প্রতিবেশী হিসেবে তাদের বসবাসের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তাদের অবৈধ বসতি গড়াকে সমর্থন করেন না তারা।
#এমএস