প্রধান শিরোনামবিশ্বজুড়ে

ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা, উপসাগরে সেনা মোতায়েন

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ আবারও ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে করল  ট্রাম্প প্রশাসন। আর এর কয়েকঘণ্টা পরই জানানো হয়, উপসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক শক্তি জোরদারে আরো সৈন্য পাঠাচ্ছে তারা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, অন্য যেকোন দেশের তুলনায় এ নিষেধাজ্ঞা এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন। তবে এখনই সামরিক হামলার কোন পরিকল্পনা নেই।

২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা এ হামলার দায় স্বীকার করলেও এ ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরান জড়িত রয়েছে বলে দাবি করা হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে তেহরান। এ নিয়ে তেহরানের সঙ্গে বাকযুদ্ধে লিপ্ত হয় ওয়াশিংটন। এর মধ্যেই ২০ সেপ্টেম্বর ইরান দখলকে খুবই সহজ সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করলেন ট্রাম্প। এদিন ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের প্রয়োগের অংশ হিসেবে দেশটির ন্যাশনাল ব্যাংকের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। একইদিন সৌদি-আমিরাতে আরও সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেয় পেন্টাগন।

প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় সপ্তাহান্তে তেহরান হামলা চালিয়েছে মার্কিন কর্মকর্তারা এমন কথা জানানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিরুদ্ধে নতুন করে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তেল স্থাপনায় হামলার কারণে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম তাৎক্ষণিকভাবে অনেক বেড়ে যায়।

পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনুরোধের প্রেক্ষিতে উপসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক শক্তি আরো শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে আরো সৈন্য পাঠাবে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক ইস্পার বলেন, ‘সৌদি আরবের অনুরোধের জবাবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেখানে মার্কিন বাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছেন।’

এদিকে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, আমি গুরুতর কথা বলতে যাচ্ছি। আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা সামরিক মোকাবিলায় জড়িত হতে চাই না। কিন্তু নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষার ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করব না।

সৌদি আরব বা মার্কিন সেনাবাহিনী হামলা চালালে ফল কী হবে জানতে চাইলে জাভেদ জারিফ বলেন, একটি সর্বাত্মক যুদ্ধ।

#এমএস

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close