প্রধান শিরোনামবিশেষ প্রতিবেদন
ইমামের স্বল্প টাকায়, ভালোবাসার পূর্ণতায় পথশিশুরা
আবদুল কাইয়ূম, নিজস্ব প্রতিবেদক: সহজ একজন মানুষ। ছোট খাটো ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আশুলিয়ার জামগড়ায় কয়েক বছর আগে বেখায়ালি মনে ৪ তলা থেকে নীচে চোখ পড়ে পথশিশুদের জিবন চিত্র। ময়লা অর্বজনার মাঝে বেঁচে থাকার উপায় খুঁজে। সুখ মানে কি? এর মানে তারা হয়তো জানেই না। সেই অবচেতন মনে চোখের কোনে লোনা জল ছলছল করছিলো। আবেগ সামলাতে পারলাম না। আর মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসার এমন অবুঝ মন যার আছে, সে কিভাবে সামলাবে? যাই হোক, খুঁজে বের করি তাদের। তারপর একটু সহযোগিতা।ছোট ছোট বায়না, পূরনের আপ্রান চেষ্টা। বিশেষিদনে ভালো খাবার দাবার। বিনোদন পার্কে একটু বেড়ানো। পুরোপরি পারি না। তবু ভালোবাসার কমতি নেই। যেন ভালোবার এক অবিচ্ছিন্ন অংশ, আজ তারা। আবার ঈদ বলে কথা, সবাইকে ডাকি। স্বল্প করে হলেও ঈদ বকিশস তুলে দেই। অধিকার নিয়ে ধমক দিয়ে কাছে ডাকি। শুনি তাদের সুখ-দুঃখের কথা। বুঝতে চেষ্টা করি অভিমানের ভাষা। ধীরে ধীের কতটা আপন হয়ে গেলে ক্ষুদে পথশিশুরা ঢেরই গেলাম না। এমভাবেই ভালোবাসার অনুভূতির জানানোর চেষ্টা করলেন আশুলিয়ার লায়ন ইমাম হোসেন। না, তিনি শিল্পপতি বা ধনী ব্যক্তি নন। সাধারন একজন মানুষ। ছোট ব্যবসা ও ঠিকাদারি কাজ করে জিবন যাপনের চেষ্টা।
ইমাম হোসেন জানান, ঈদের আগের রাত নিজের পরিবার ও ব্যবসার কাজ। সব মিলে আমার নাভিশ্বাস। ক্লান্ত শরীরটা যেন চলছে না। কিন্তু আমার পথ চেয়ে বসে থাকা পথশিশু সন্তানরা? তাদের সঙ্গে দেখা না হলে, অতৃপ্তি মন আমাকে ঘুমাতে দিবে না। তাই শত ব্যস্ততা ও ক্লান্তি দুরে ঠেলে তাদের সঙ্গে ভালোবাসার এক মুহূর্ত। এখন আমি শান্তি সাগরে পরিশুদ্ধ ইমাম হোসেন। আর চোখের কোনে জমে উঠা জল, এর নাম আনন্দ অশ্রু। সাধ্য নেই, তবু যতটুকু সম্ভব ছিলো। ভালোবাসা ছিলো অকৃপন। না, তাদের নিয়ে আমার কোন সংগঠন নেই। আমার ব্যক্তি উদ্যেগ।
বিগত কয়েক বছরে তাদের সাথে ভালোবাসার সখ্যতা আর দায়িত্ব যেন এখন পাহাড় সমান। আর বঙ্গবন্ধুর তুলনা শুধু বঙ্গবন্ধুই। তবু তাঁর আর্দশকে ধারন করে বলেত ইচ্ছে করে। এমন পথশিশু, যাদের বাবা নেই বা মনে নেই তার বাবার নাম। সে পথ শিশুর বাবার জায়গায় লিখো দাও আমার নাম। ঠিকানা দাও আমার বাড়ি। কারন এখন যেন তারা আমারই সন্তান।