দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ায় ব্রিজ থেকে ফেলে দিল বখাটেরা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রীদের ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় আকমল হোসেন রুমেল নামে এক ব্যক্তিকে ব্রিজ থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন- উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা রমজান মিয়ার ছেলে বেলাল হোসেন রানা (২২) ও একই ইউনিয়নের একিদত্তপুর গ্রামের আজির উদ্দিনের ছেলে জয়নাল আবেদীন রনি (২০)। রানা উপজেলার লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ ও রনি শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় রনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের মীরের গ্রামের বাসিন্দা মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আকমল হোসেন রুমেল (৪৫) প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার স্থানীয় একিদত্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে সাবিয়া হোসেনকে (৭) স্কুল থেকে আনতে যান। দুপুর ১২টায় আকমল হোসেন ও তার চাচাতো ভাই আনকার হোসেন মেয়েকে নিয়ে স্কুল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসার পথে স্থানীয় মীরেরগ্রাম ও মুকুন্দপুর এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে বাড়ুয়াছড়া ব্রিজের ওপর দেখতে পান বখাটে বেলাল হোসেন রানা ও জয়নাল আবেদীন রনি ব্রিজের ওপরে দাঁড়িয়ে স্কুলগামী ছাত্রীদের ইভটিজিং করছে।

এ সময় আকমল হোসেন ও আনকার হোসেন ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করলে বখাটে রানা ও রনি তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা। এ সময় আকমল হোসেনের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ব্রিজের ওপর থেকে তাকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ২৫ ফুট নিচে ফেলে দেয় তারা। এতে আকমল হোসেনের কোমরের হাড় ভেঙে যায় এবং বাম হাতের কব্জিতে জখম হয়। আকমলের চিৎকার শুনে তাকে বাঁচাতে গেলে তার ভাতিজা কুলাউড়া সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাহাত হোসেন রাজের ওপরও হামলা চালায় তারা। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। আকমল হোসেনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

কুলাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান জানান, এ ঘটনায় আকমল হোসেনের ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close