স্বাস্থ্য

ইফতারে যেসব ফল রাখতে পারেন

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সারাদিন রোজার শেষে ইফতারের আয়োজনে নানারকম ফল রাখেন অনেকেই। খালি পেটে সেসব ফল খাওয়া ঠিক না ভুল তা নিয়েও সন্দিহান থাকেন অনেকে। অনেকের ধারণা খালি পেটে ফল খেলেই অ্যাসিডের প্রকোপ বাড়ে। ডায়েটিশিয়ানরা মনে করেন, ফল থেকে পূর্ণ পুষ্টিগুণ পাওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট কয়েকটি নিয়ম মেনে তবেই খাওয়া উচিত।

জেনে নিন সেগুলো কী-
ফল খাওয়ার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। রোজায় সারাদিন শরীর পানিহীন অবস্থায় থাকে, তাই সবার প্রথমে তাকে আর্দ্রতার যোগান দিন।

এরপর যদি একটি ফল খান, তা হলে আপনার ডাইজেস্টিভ সিস্টেম নড়ে-চড়ে বসে, তার কার্যকলাপ সুষ্ঠুভাবে শুরু হয়। ফলে থাকে প্রাকৃতিক শর্করা, শরীরে তার শোষণ হয় তাড়াতাড়ি। ফলে আপনার ক্লান্তি কেটে যাবে ঝটপট, তরতাজা অনুভব করবেন।

আপেল, কমলা বা পেঁপে, কলার মতো ফল ইফতারে দিব্যি খাওয়া যায়। আর না, আতঙ্কিত হবেন না, এর ফলে আপনার অ্যাসিডিটি হওয়ার কোনো আশঙ্কাই থাকবে না।

ইফতারে একটি আপেল বা কলা খেতে পারেন, তাতে প্রয়োজনীয় এনার্জির জোগান পাবে শরীর, খাওয়া যায় বাদাম-কিশমিশ-খেজুরের মতো শুকনো ফলও। ইফতারে ফল বা ফলের রস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ সে সময়ে শরীর তার পুষ্টিগুণ সবচেয়ে ভালোভাবে শোষণ করতে পারে।

অনেকে বলেন, পেট ভরে খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে বা পরে ফল খাওয়া উচিত। তা না হলে অন্যান্য খাবারের হজম প্রক্রিয়ায় অনেক বেশি সময় লাগে। তাতে একদিকে যেমন পেট বেশি ভার হয়ে থাকে, তেমনই অন্যদিকে আবার কারও কারও পেট ফাঁপার সমস্যাও হতে পারে। তাই ভারী খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফল না খেয়ে একটু আগে বা পরে খেয়ে দেখুন কেমন লাগে। আপনার ক্ষেত্রে ঠিক কোন নিয়মগুলি খাটছে, তা নিজেই বুঝতে পারবেন।

যাদের ফল খেলে অ্যাসিডিটি হয়, তারা দই, লবণ বা চিনি মিশিয়ে ফল খাবেন না। ফল খেয়েই সঙ্গে সঙ্গে পানি খাওয়া এড়িয়ে চলতে পারলেও ভালো হয়।

/আরকে/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close