প্রধান শিরোনামবিশ্বজুড়ে
ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ অভ্যন্তরীণ বাজারে রান্নার তেল সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটায় পাম তেল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। আগামী সোমবার থেকে পাম তেল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
বিশ্বের শীর্ষ পাম তেল রপ্তানিকারক এই দেশটি গত ২৮ এপ্রিল অপরিশোধিত পাম তেল (সিপিও) এবং কিছু পণ্যের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে দেশটিতে রান্নার তেলের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়।
প্রতি লিটার রান্নার তেলের দাম ১৪ হাজার রুপিয়ায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল দেশটির সরকার। তেলের দাম এখনও সেই লক্ষ্যমাত্রায় নেমে না আসলেও দেশটির সরকার পাম তেল শিল্পের ১ কোটি ৭০ লাখ শ্রমিকের কল্যাণ বিবেচনা করে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট উইদোদো এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, দেশে রান্নার তেলের সরবরাহ এখন অভ্যন্তরীণ বাজারে যা প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি স্তরে পৌঁছেছে। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার আগে দেশটিতে এপ্রিল মাসে রান্নার তেলের গড় মূল্য ছিল প্রতি লিটার ১৯ হাজার ৮০০ রুপিয়া এবং নিষেধাজ্ঞার পরে গড় দাম প্রতি লিটারে প্রায় ১৭ হাজার ২০০ থেকে ১৭ হাজার ৬০০ রুপিয়ায় নেমে এসেছে।
ইন্দোনেশিয়া অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় হিসাবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত উদ্ভিজ্জ তেল রপ্তানিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। পরে দেশটির কৃষকরা সরকারের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে পাম ফলের কোনও চাহিদা নেই বলে জানান কৃষকরা। কৃষকদের চাপের মুখে দেশটির সরকার রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হলো।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর পর সূর্যমুখী তেলের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় পাম তেলের চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু বিশ্বের শীর্ষ পাম তেল রপ্তানিকারক ইন্দোনেশিয়া রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিশ্বজুড়ে উদ্ভিজ্জ তেলের বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়।
বিশ্বের উদ্ভিজ্জ তেলের বাজারের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি চাহিদা পূরণ হয় পাম তেলের মাধ্যমে। আর বিশ্ববাজারে প্রায় ৬০ শতাংশ পাম তেল সরবরাহ করে ইন্দোনেশিয়া।
/এম,কে