শিল্প-বানিজ্য
ইউরোপীয় বাজারে পণ্যের ন্যায্যমূল্য চায় বাংলাদেশ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: স্থানীয় সময় শুক্রবার ব্রাসেলসে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দশম যৌথ কমিশন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং অত্যন্ত গঠনমূলক ও মুক্ত পরিবেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ অভিন্ন স্বার্থের বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও ইইউ পূর্বাভাসযোগ্য ও টেকসই ব্যবসায়িক পরিবেশ প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়েছে যা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহজ করে তুলবে।
এই লক্ষ্যে উভয় পক্ষ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ অনুসরণ ও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘নিরাপদ ও সবুজ’ কারখানায় বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ইউরোপের বাজারে পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা আবারো তুলে ধরেছে বাংলাদেশ।
ইইউ-এর এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) বাণিজ্য ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হিসেবে বাংলাদেশের অব্যাহত সাফল্যের প্রশংসা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
বাংলাদেশের একক বৃহত্তম রফতানি গন্তব্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যে পোশাক রফতানি আগের বছরের তুলনায় ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়ে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
ইইউর মতে, বাংলাদেশ সরকারের শ্রম অধিকারের মানদণ্ডের টেকসই সংস্কার এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশনের সঙ্গে তাদের পূর্ণ সামাঞ্জস্য এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
শ্রমখাতে বাংলাদেশের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্তকরণ ও প্রকাশকে স্বাগত জানিয়েছে ইইউ এবং নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী এর ব্যাপক বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
ইইউ ও বাংলাদেশ সুশাসন, গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার, রোহিঙ্গা সংকট, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, শিক্ষা, উন্নয়ন সহযোগিতা ও আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছে।
চলতি বছরের জুনে ঢাকায় প্রথম ইইউ-বাংলাদেশ রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
/এএস