দেশজুড়ে
ইউপি সদস্য ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ কক্সবাজারের টেকনাফে এবার বন্দুকযুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসায় অভিযুক্ত এক ইউপি সদস্য পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১ জুন) বিকেল ৪টায় গ্রেফতার করা ওই ইউপি সদস্যকে নিয়ে মাঝরাতে ইয়াবা উদ্ধারে গেলে বন্দুকযুদ্ধে তিনি মারা যান বলে দাবি করেছেন টেকনাফ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।
নিহত মোহাম্মদ হামিদ প্রকাশ হামিদ মেম্বার ওরফে হামিদ ডাকাত (৪৫) টেকনাফ সদর ইউপির মহেশখালীয়াপাড়ার মৃত আবুল হাসিম প্রকাশ হাশেমের ছেলে এবং সদর ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে এসআই সুজিত চন্দ্র দে ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে বহু মামলার পলাতক আসামি এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হামিদ প্রকাশ হামিদ মেম্বার ওরফে হামিদ ডাকাতকে মহেষখালীয়াপাড়া বাজার থেকে গ্রেফতার করেন। তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি জানান, টেকনাফ সদর ইউপির মহেষখালীয়াপাড়া নৌকা ঘাট এলাকায় ইয়াবা মজুদ রাখা আছে। তাৎক্ষণিক আমার নেতৃত্বে অতিরিক্ত অফিসার ফোর্সসহ হামিদ মেম্বারকে নিয়ে রাত সাড়ে ১২টায় ইয়াবা উদ্ধারের জন্য ঘাটে যায়। সেখানে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার অপরাপর সহযোগী অস্ত্রধারী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে এসআই স্বপন চন্দ্র দাশ, এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল রয়েল বডুয়া আহত হন।
ওসি আরও বলেন, এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ৫০ রাউন্ড গুলি করে। একপর্যায়ে হামিদ মেম্বার গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকায় তল্লাশি করে ৪টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ১৭ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ, ২১ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং ৬ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ হামিদ মেম্বারকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৪টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, হামিদ মেম্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে ১২টি মামলা রয়েছে। এছাড়া বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পৃথক মামলা করা হচ্ছে।