ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: মহামারি করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম আরও জোরদার করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কার্যক্রম যেন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়েও শুরু করা যায় সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি । একই সঙ্গে বয়স্ক লোকদের টিকার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেছেন তিনি । কারণ বয়স্কদের মধ্যে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি ।
আজ সোমবার (২৬ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা জানান। তিনি জানান, এখন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়েও এই কার্যক্রম শুরু করা হবে।
করোনার সম্মুখসারির যোদ্ধাদের পরিবারের ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের করোনা টিকা দেওয়া হবে। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী চলমান কঠোর বিধিনিষেধ মানার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবারও জানান, বিভিন্নভাবে মোট ২১ কোটি করোনার টিকা আসবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত শনিবার বলেছিলেন, গ্রামে বয়স্কদের অগ্রাধিকার দিয়ে অনলাইন নিবন্ধন ছাড়াই করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে। প্রয়োজনে পরে সেসব নাম অনলাইনে নিবন্ধন করে নেওয়া হবে।
দেশে ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান শুরু হওয়ার পর থেকে ১৩৫ দিন টিকা দেওয়া হয়েছে। চার ধরনের টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে এ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ১৮ লাখের বেশি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মানুষ দৈনিক গড়ে ৮৭ হাজার ডোজ টিকা পেয়েছেন। গতকাল সারা দেশে দুই লাখের বেশি মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ১৯৪ জনকে।
দেশে এ পর্যন্ত টিকা এসেছে ২ কোটি ১২ লাখ ৪৫ হাজার। এর মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার, ফাইজারের ১ লাখ, সিনোফার্মের ৫১ লাখ এবং মডার্নার ৫৫ লাখ।
প্রথম দফায় আসা ১ কোটি ৩ লাখ ডোজের মজুত শেষ হওয়ার পর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া আপাতত বন্ধ আছে। প্রথম ডোজ পাওয়া ১৫ লাখের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছেন। গত পরশু আসা ২ লাখ ৪৫ হাজার টিকা শুধু ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন কেন্দ্রে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।