দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
আড়ংকে জরিমানা করা সেই শাহরিয়ারকে বদলির নির্দেশ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ আড়ংয়ের উত্তরা শাখাকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারকে বদলি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ভোক্তা অধিদফতর সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক পদ থেকে বদলি করে তাকে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, খুলনা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
উপসচিব মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উপসচিব পদমর্যাদায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয় ঢাকার উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারকে এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা হিসেবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, খুলনা জোনে ন্যস্ত করা হলো। আগামী ১৩ জুন তাকে বদলি করা কর্মস্থলে যোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ করা যেতে পারে। নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিলে ১৩ জুন বিকেলে তিনি বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) বলে গণ্য হবেন।
এর আগে সোমবার রাজধানীর উত্তরায় আড়ং শোরুমকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়। মূলত ৭০০ টাকার পাঞ্জাবি ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করায় এ জরিমানা করা হয়।
অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল।
অভিযান প্রসঙ্গে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘গত ২৫ মে এক ক্রেতা উত্তরা আড়ং থেকে একটি পাঞ্জাবি কেনেন ৭৩০ টাকায়। একই পাঞ্জাবি ৩১ মে কিনতে গেলে দাম রাখা হয় ১ হাজার ৩০৭ টাকা। অধিদফতরে এমন অভিযোগ করেন এক ভোক্তা। এ পরিপ্রেক্ষিতে আজ উত্তরা আড়ংয়ে অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা পায় অধিদফতর। আড়ং অভিনব কায়দায় বেশি দাম লিখে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে। কী অবাক করা বিষয় ছয়দিনে একটি পাঞ্জাবির দাম বেড়েছে ৬০০ টাকা। যার কোনো কারণ জানাতে পারেনি আড়ংয়ের শোরুমের কর্মকর্তারা।’
তিনি আরও বলেন, দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অধিদফতরে ডাকা হয়েছে। তারা যৌক্তিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে না পারলে প্রতিষ্ঠানটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে।’
অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘পাঞ্জাবির দাম বেশি নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করায় রাত পৌনে ৯টার দিকে উত্তরার আড়ং শোরুম খুলে দেয়া হয়েছে। আড়ং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে ভোক্তা অধিকার ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ তারা আর করবে না।’