নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আশুলিয়া প্রেসক্লাব চত্তরে পর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সাংবাদিকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার ব্যক্তিরা।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আশুলিয়া প্রেসক্লাবে ১৫ থেকে ২০ জন সাংবাদিক আলাপচারিতার সময় এই ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা।
প্রেসক্লাবে থাকা সাকিল ও তনয় নামের ক্যামেরাম্যান জানায়, আমরা প্রেসক্লাবে কেরাম খেলছিলাম হঠাৎ পরপর দুইবার বিকট আওয়াজ হয়। পরক্ষণেই ধোয়ায় অন্ধকার হয়ে যায় পুরো প্রেসক্লাব চত্তর। পরে বাহিরে এসে ধোয়া কমে যাওয়ার পর পুরনো সংবাদের কাগজে কালো স্কসটেপ দিয়ে মোড়ানো বোমা সাদৃশ্য বস্তু দেখা য়ায়। এর চারপাশে স্প্রিন্টার ছড়িয়ে পড়েছে বলেও জানান তারা।
দেশ টিভির সাভার প্রতিনিধি শাহীনুর রহমান শাহীন জানান, আমরা মনে করছি অবশ্যই এটি পরিকল্পিত। প্রেসক্লাবের সিসি ক্যামেরা আকাশের দিকে উল্টানো ছিল। আমার সহকর্মী ও বন্ধু যমুনা টিভির রিপোর্টার মাহফুজুর রহমান নিপু, সময় টিভির রিপোর্টার মোজাফফর হোসেন জয়, এটিএন নিউজের রিপোর্টার জাহিদ হাসান শাকিল ও প্রেসক্লাবের আহবায়ক লাইজু আহমেদ চৌধুরী এক সঙ্গে দাড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। কাছে যেতেই গাড়ির নীচে থাকা আরও একটি ককটেল বিম্ফোরণ ঘটে। গাড়ি থাকায় রক্ষা হয়েছে, না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতো।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এমদাদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৩ ( সেপ্টেম্বর) সাংবাদিক মোজাফ্ফর হোসেন জয়কে হুমকি প্রদান করে মানিক নামের এক ব্যক্তি। পরে এদিনই আশুলিয়া থানায় সাধারন ডায়েরি করেন সময় টেলিভিশনের ঢাকা জেলা সাব-ব্যুরো প্রতিনিধি মোজাফ্ফর হোসাইন জয়।
/এন এইচ