আশুলিয়ায় মরিচ গুড়া ছুড়ে লাঠির আঘাত, জমি দখলের পায়তারা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আশুলিয়ায় নিজের গাছের আম পাড়তে গেলে মরিচ গুড়া ছুড়ে হামলা করেছে পাশের বাড়ির লোকজন। পূর্ব থেকে চলমান জমির বিরোধ নিয়ে এ কান্ড করে বসেন প্রতিপক্ষরা।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেন(৩৮)। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) আশুলিয়া থানার পাথালিয়া ইউনিয়নের চারিগ্রাম এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

মামলার আসামীরা হলেন, সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার চারিগ্রাম দক্ষিনপাড়া এলাকার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে মোঃ মোকছেদ আলী(৪৮), তার স্ত্রী মোসাঃ শান্তা বেগম(৪৫), তার তিন মেয়ে যথাক্রমে আকলিমা খাতুন(২৬), মোসাঃ রোজিনা(২৮) এবং মোসাঃ জামিনা বেগম(২২)। এ মামলায় আরও অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেন ঢাকা অর্থনীতিকে বলেন, ১৫ এপ্রিল আমার পৈত্রিক জমির গাছে আম পাড়তে যায় আমার ভাই-ভাতিজারা। ওই জমিকে নিজের বলে দাবি করা শান্তা বেগম তার স্বামী ও ৩ মেয়ে নিয়ে আমার ভাতিজা মেহেদী(২৭) কে মারধোর করে। আমি ঘটনা জানতে পেরে মেহেদীকে উদ্ধার করার জন্য গেলে আমাদের উপর মরিচের গুড়া পানিতে মিশিয়ে ছুড়ে মারে। তারা লাঠিসোটা, বটি, দা নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে বসে। চোখমুখ জ্বলতে শুরু করলে আমার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে মোঃ মোকছেদ আলী। এতে আমার মাথা ফেটে যায়। এরপর আমার ভাতিজা মেহেদী ও আমাকে আশেপাশের মানুষ উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আমার মাথায় ৪ টি সেলাই দেয়া হয়েছে। পরে জানতে পারি তারা নিজেরাই নিজেদের বাড়িঘর ভাংচুর করে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশ ডেকে এনে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ জানায়।

তিনি আরো বলেন, যে জমিতে আম গাছ সে জমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। কিন্তু বিবাদীরা জোরপূর্বক আমার জমি দখল করার পায়াতারা করে আসছে। এর আগে তারা আদালতে এই জমি নিয়ে মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলার রায় আমাদের পক্ষে আসার পর থেকে তারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এর আগে ওই জমি নিয়ে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যান বিচার-সালিশ করে আমাদের পক্ষেই রায় দিয়েছিল। তারা সমস্ত কিছু জানেন। আমি আমার জমি চাই, যারা আমার উপর হামলা করছে তাদের বিচার চাই।

এ ব্যাপারে সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শফিউল আলম সোহাগ বলেন, গত ৭ বছর ধরে তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধের কথা শুনে আসছি। আমরা স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করে আসলেও কাজ হয়নি। আমরা যতদূর জানি এ জমির প্রকৃত মালিক আওলাদ হোসেন। কিন্তু অপরপক্ষের কাছে এ জমি সংক্রান্ত কোন কাগজ পত্র না থাকলেও তারা জমি নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ কায়সার হামিদ বলেন, আভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। জানতে পেরেছি, বাদী বিবাদীর মধ্যে পূর্ব থেকেই জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। মামলা দায়ের হয়েছে। এখন বাকি তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

/আরএম