আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ
আশুলিয়ায় বাড়ি নির্মানে চাঁদা দাবি, তিনজনকে কুপিয়ে যখম
নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি নির্মান বন্ধ করে দুইজনকে কুপিয়ে গুরুতর যখম করেছে চাঁদাবাজরা। এঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
শনিবার (১২ মার্চ) সকালে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী হাজ্বী মো: আসাদুজ্জামান আসাদ। এর আগে রোববার বিকেলে সাভারের আশুলিয়ার কান্দাইলের কামরুল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন আশুলিয়ার কাঠগড়া মোল্লাবাড়ি এলাকার জলিল মাস্টারের ছেলে আশরাফ হোসেন ও সাইজুদ্দিন মোল্লার ছেলে হাজী আসাদুজ্জামান আসাদ ও সিদ্দিকুর রহমান। তাদের উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- আশুলিয়ার কান্দাইলের কামরুল মোড় এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে আব্দুল ওহাব (৫৮), তার ছেলে হাসান (২১), পালিত ছেলে রানা (২২), বুলবুল (২০), জিয়াউর রহমানের ছেলে জিহাদ (১৯), নরসিংহপুরের কোনাপাড়া এলাকার ফারুক হাসান ফালুর ছেলে পারভেজ খান (১৯), শফি মোল্লার ছেলে জোবায়ের রহমান ইমন (২১) ও মেহেদী হাসান জয়সহ অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জন। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওহাবের বাড়ির পাশে আহত আসাদুজ্জামান আসাদের প্রবাসী আত্মীয় একটি বাড়ি নির্মান করছেন। ওহাব ও তার ছেলে বাড়ি নির্মানে বাঁধা দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং এলাকা ছাড়া করার পরিকল্পনা করেন। গতকাল বিকেলে বাড়ির নির্মান কাজ দেখতে গেলে ওহাবের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীসহ আসাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। সবার হাতে চাপাতি, রামদা, লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ছিল।
ভুক্তভোগী আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, তারা আমার আত্মীয়ের জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে আমাকে গালাগালি দেয়। চাঁদা না দিলে কোন ধরনের নির্মান কাজ করতে দেবে না বলে হুমকি ধামকি দিতে থাকেন অভিযুক্তরা। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমার ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। এসময় তারা আমাকে মাটিতে ফেলে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। পরে আমার মামাতো ভাই আমাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও কুপিয়ে যখম করেন। এসময় আহত হয় ইমরান হোসেন সোহেলকে লোহার রড, চেইন দিয়ে পিটিয়ে নিলাফোলা জখম করেন। এসময় তারা আমার কাছ থেকে একটি শাওমি মোবাইল যার মূল্য ৩৭ হাজার টাকা ছোটভাই আশরাফের কাছ থেকো নগদ সাড়ে ৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে দ্বিতীয়বার আসলে আমি জীবন বাঁচাতে আমার লাইসেন্স করা অস্ত্র দিয়ে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি করি। এসময় তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদের সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে আজ সকালে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। এব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।