আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ
আশুলিয়ায় পরিত্যক্ত মাঠ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাকে ফোন করে মৃত্যু সংশয়ের কথা জানানোর তের ঘন্টার পরেই রফিকুল ইসলাম (৩০) নামের এক যুবকেরর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ রুমমেটকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবী পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের শিকার রফিকুল ইসলাম।
রবিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে আশুলিয়ার জিরাবোর বটতলা এলাকার একটি পরিত্যক্ত মাঠ থেকে গলায় গামছা পেঁচানো ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনা জেলা সদর থানার পঞ্চনানপুর গ্রামের মৃত হাশেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি জিরাবো বটতলা এলাকার আবুল কাশেমের বাড়িতে ভাড়া থেকে দিন মজুরের কাজ করতেন। আবুল কাশেমের বাড়িতে ভাড়া থাকলেও পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়া আলমঙ্গীরের বাসায় তিনি মাসিক চুক্তিতে খাবার খেতেন।
এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকরা হলেন- একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রিয়াদ (২৩), তার ছোট ভাই রানা (১৯), আব্দুল বারেকের ছেলে নাজমুল হাসান রাজন (১৯) ও বকুল মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন হৃদয় (১৯)। তারা সবাই নেত্রকোনা জেলা সদরের পঞ্চনানপুর গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতের ভাই হুমায়ুন কবির নয়ন বলেন, গতকাল রাতে ৯ টার দিকে মাকে আমার ছোট ভাই ফোন করে বলে রিয়াদ, হৃদয়, রানাসহ আরও একজনের সাথে তার ঝগড়া হয়েছে। পরে বাড়ি ওয়ালা আবুল কাশেম তাদের ঝগড়া মিমাংসা করে দেয়। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আবার মাকে ফোন করে আমার ছোট ভাই বলে তাকে রানা, রিয়াদ ও হৃদয়সহ চার জন মেরে ফেলবে। কথা বলা শেষে আলমগীর নামের এক জনের বাসায় রাতের খাবার খেয়ে বাসায় যায় রফিকুল। আজ সকালে শুনি আমার ভাই গলায় গামছা পেচানো অবস্থায় মাঠের মধ্যে মরে পরে আছে। ঝগড়ার পরে রাতে তার রুমমেট ৪ জন আমার ছোট ভাইকে হত্যা করেছে। পুলিশও বলছে তারা লাশ মাঠে পড়ে ছিলো। কোন ফাঁস দেয়ার লক্ষন ছিলো না।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় তার রুমমেট ৪ জনকে জন্য আটক করা হয়েছে। একই সাথে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করছেন। মামলা পর ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামীকাল সোমবার আদালতে পাঠানো হবে। পাশাপাশি ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।