আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ
আশুলিয়ায় চাঁদাবাজি মামলার আসামী ছাড়াতে যুবলীগ নেতার তোড়জোড়
নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় চাঁদাবাজির অভিযোগে থানা যুবলীগের কর্মীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এঘটনায় আটক চাঁদাবাজদের ছাড়াতে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার তোড়জোড়ের খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আল মামুন কবির। এর আগে বুধবার (১২ আগস্ট) আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের গোরাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে আজ দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
আটকরা হলেন আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের গোরাট এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (৩২)। আল আমিন ইয়ারপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অপরজন নিলফামারীর ডিমলা থানার নাউতারা এলাকার জলিলের ছেলে আনারুল ইসলাম (২৮)। এঘটনার আসামি খলিল নামের আরও এক জন পলাতক রয়েছে।
পুলিশ জানায়, ওই এলাকায় দিদার নামের এক ব্যক্তি বাড়ি নির্মান করছিলেন। গত কয়েক দিন ধরেই আল আমিনসহ বেশ কয়েকজন চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা নানাভাবে হুমকি ধামকি দিতে থাকে ও মারধর করে। পরে ভুক্তভোগী ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
এদিকে গ্রেফতার চাঁদাবাজদের ছাড়াতে ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক নুরুল আমিন সরকারের তোড়জোড়ের খবর পাওয়া গেছে। তিনি আসামিদের ছাড়ানোর জন্য থানায় এসেছিলেন বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে যুবলীগ নেতা নুরুল আমিন সরকারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আটক আল আমিন ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা। আবার স্বেচ্ছাসেবকলীগেরও পদে আছে। এছাড়া আমার প্রতিবেশী ও তার পরিবারের অনুরোধে চেষ্টা করেছি বাদী পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মিমাংসা করার। তবে বাদী পক্ষের কোন সারা না পাওয়ায় ফিরে এসেছি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির জানান, চাঁদাবাজির মামলায় তাদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।