আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ

আশুলিয়ায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ক্যাডার রিয়াদ আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় পরিবহণ কাউন্টারে চাঁদাবাজির অভিযোগে ক্যাডার রিয়াদ মোল্লা (৪০) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ৩টায় আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে অভিযুক্ত চিহ্নিত ক্যাডার রিয়াদ মোল্লা কে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

আটক রিয়াদ মোল্লা বাঘের হাট জেলার চিতলমারী থানাধীন বড়বাড়িয়া এলাকার ডাঃ ওলিয়ার মোল্লার ছেলে। রিয়াদ ডিওএইচএস সাভার ক্যান্টঃ এলাকার ব্রিগেডিয়ার সালাউদ্দিন এর বাড়িতে ভাড়া থেকে বিভিন্ন পরিবহণে চাঁদাবাজিসহ, মার্কেট দখল ও জমি দখলের মতো কাজে ভাড়াটে ক্যাডার হিসেবে পরিচিত।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি বাস কাউন্টারের ম্যানেজার রাজু আহম্মেদ বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত বাইপাইল এলাকায় শাহজালাল এক্সপ্রেস, সিয়াম স্পেশাল, শেরপুর ট্রাভেলস, মহানগর, বিনিময় ও গ্রামীন ট্রাভেলস নামক বাস কাউন্টার ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত থেকে পরিচালনা করছি। আমার সাথে আরো ৭ জন সহকারি আন্তঃজেলা বাস কাউন্টারে টিকিট বিক্রির কাজ করছে। আমরা আজিজ মিয়ার কক্ষ ভাড়া নিয়ে কাউন্টারে নিয়মিত কাজ করছি।

ভুক্তভোগি আরো বলেন, এ বছরের ১৫ ডিসেম্বর হতে প্রতিনিয়ত বিবাদী রিয়াদ মোল্লা, আমির হোসেন ওরফে পালসার আমির, পান্নু শেখ, তামিমসহ ১০/১২ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী দৈনিক ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবিসহ এককালীন ১লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। অন্যথায় কাউন্টারটি তারা জবর দখলে নিয়ে পরিচালনা করবে মর্মে হুশিয়ারি দেয়। আমি ও আমার সঙ্গীয়রা টাকা দিতে পারব না বলে জানালে, শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল অনুমান সাড়ে ১০টায় উল্লেখিতরাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জন মোটরসাইকেল যোগে গিয়ে কাউন্টারে হাজির হন। এসময় তারা আমার নিকট চাঁদার টাকা দাবি করে অন্যথায় কাউন্টার ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়। আমি টাকা প্রদানে অনীহা জানালে তারা কাউন্টারে প্রবেশ করে আমাকে টেনে হিচড়ে বাহিরে বের করে প্রকাশ্য দিবালোকে মারধর করে। আমার সঙ্গীয়রা আমাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও বেদম মারধর করে আহত করে।

এসময় হামলাকারিরা নগদ ৬৫ হাজার টাকা, আমার স্যামসং মোবাইলসেট মূল্য সাড়ে ১৯ হাজার টাকা, কাউন্টার সহকারি মোশাররফ হোসেনের নিকট থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এসময় তারা কাউন্টার ছেড়ে চলে না গেলে জীবননাশের হুমকি প্রদর্শন করে। পরে সঙ্গীয়রা আমাদের আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্যে ভর্তি করে। এ ঘটনায় তিনি থানায় চাঁদাবাজির লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসার উপ পরিদর্শক (এসআই) একরামুল জানান, রিয়াদ মোল্লা নামে একজন থানা হাজতে রয়েছেন। তবে কি অভিযোগে থানা হাজতে সে ব্যাপারে ওসি তদন্ত ভালো বলতে পারবেন।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের (৮ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় আশুলিয়ার ডেন্ডাবর গরুরহাট রাস্তার মালেকের বাড়ির সামনে ক্যাডার রিয়াজ গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুলির খোসা উদ্ধার করেছিল। ওই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছিল। মামলার বাদি ক্যাডার রিয়াদ মোল্লা। যদিও গুলিবিদ্ধ রিয়াজের স্ত্রী ও স্বজনরা কাছে থেকেও রহস্যজনক কারনে ওই মামলার বাদি হন রিয়াদ মোল্লা। রিয়াদ মোল্লা রিয়াজের রক্তের সম্পর্কের কোন আত্মীয় নন। মূলত হামলায় চিহ্নিতদের রক্ষার জন্যই রিয়াদ মোল্লা ওই গুলিবিদ্ধের ঘটনার মামলার বাদি হন।

/এএস

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close