আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে গণধর্ষণ: আসামিরা ফের রিমান্ডে, আরও ১ জনের স্বীকারোক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে তরুণী গণধর্ষণের ঘটনায় তিন দিনের রিমান্ডে থাকা ৫ আসামির ৪ জনের ফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর একজন স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

তিন দিনের রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ বুধবার (০২ জুন) দুপুরে ফের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিদের আদালতে পাঠানো বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম।

বিকেলে তাদের সিনিয়র জুডিসিয়াল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান শিকদারের আদালতে এই রিমান্ড শুনানি হয়। এসময় মনোয়ার নামে একজন স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দেন। মনোয়ার সেই মিনিবাসের হেলপার ছিলো।

তারা হলেন- নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানার ধামঘর এলাকার জহুর উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার (২৪)। এরআগে শনিবার (২৯ মে) আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয় বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে সুমন (২৪)।

ফের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা ৪ আসামীরা হলো- ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার তারাগুনা এলাকার মৃত আতিয়ারের ছেলে সাজু (২০), বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৫) ও বগুড়া জেলার ধুপচাচিয়া থানার জিয়ানগর গ্রামের সামছুলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে ঢাকা জেলা কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, গত ২৯ মে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৬ আসামীকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। সেদিন ম্যাজিস্ট্রেট শাহাজাদী তাহমিদার আদালতে বাসের চালক সুমন স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে ও ৫ আসামীর ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পরে রিমান্ড শেষে পুলিশ আজ বুধবার (০২ জুন) ফের তাদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠালে তাদের ৪ জনের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে ও মনোয়ার নামে একজন স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। এ ঘটনায় গ্রেফতার ৬ জনের মধ্যে দুইজন স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ মে মধ্য রাতে আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হয় এক তরুণী। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করে ও মিনিবাসটি জব্দ করা হয়। পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে শনিবার (২৯ মে) ৬ আসামিদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়।