আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ

আশুলিয়ায় গণধর্ষণ; থানায় মামলা দায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় আলোচিত গণধর্ষনের ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বড় বোন।

বুধবার (৭ অক্টোবর) রাতে আশুলিয়া থানায় ভুক্তভোগীর বড় বোন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে গত ৩০ আগস্ট আশুলিয়ার পবনারটেক উত্তরপাড়া ফাউন্ডেশন অ্যাসোসিয়েটস কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্লটে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার আসামিরা হলো- নড়াইল জেলার কালিয়া থানার মহিষখোলা গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে সারুফ (১৮), আল আমিন ওরফে সাধু মার্কেট আল আমিন (১৯), গাজিপুর জেলার কাশিমপুর থানার বাগবাড়ি এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে ডায়মন্ড আল আমিন (১৮), রংপুর জেলার পীরগাছা থানার প্রতাববিষু গ্রামের আনছার আলির ছেলে জাকির হোসেন (১৮), ভাদাইল এলাকার দেলু হাজীর বাড়ির ভাড়াটিয়া রেজাউল ইসলামের ছেলে রেদওয়ান (১৯), ভাদাইল এলাকার আক্কাস আলী মার্কেট এলাকার বাদশা (১৮), ভাদাইলের পবনারটেক ক্লাবের জাকিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া জিহাদ (২০), ভাদাইলের পবনারটেক এলাকার স্বরব আলীর ছেলে আল আমিন ওরফে গরু আল আমিন, আলুর মার্কেট এলাকার করম আলীর ছেলে আল আমিন ওরফে বাটা আল আমিন (১৯), ভাদাইলের সাধু মার্কেট এলাকার মান্নানের বাড়ির ভাড়াটিয়া শাহজালালের ছেলে শাকিল (১৯) সহ অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বড় বোন। এর মধ্যে সারুফ, রাকিব, জাকির ও ডায়মন্ড আল আমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার এজাহারের তথ্য মতে, আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় ভাড়া থেকে একটি কারখানায় কাজ করতো ভুক্তভোগীরা। কারখানা ছুটির সুবাদে তাদের প্রতিবেশী চাচার সাথে ওই এলাকায় বেড়াতে গেলে আসামিরা তাদের আলাদাভাবে বিভিন্ন প্রশ্ন করে। পরে ভুক্তভোগীর চাচাদ্বয়কে মারধর করে আড়ালে বসিয়ে রেখে ভুক্তভোগীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনায় বিষয়টি মিমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে ভয়ে ভুক্তভোগীরা এলাকা থেকে আত্মগোপন করে।

পরে ঘটনাটি পুলিশের নজরে আসলে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় মুল হোতাসহ ৪ জনকে আটক করে। বাকীদের আটকরে অভিযান চলছে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close