আশুলিয়াদেশজুড়েপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ
আশুলিয়ায় কিশোরী গণধর্ষণ: প্রধান আসামিসহ দুইজনের স্বীকারোক্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় গণধর্ষনের ঘটনায় প্রধান আসামি সারুফ সহ দুই আসামি অপরাধ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। অপর আসামি ডায়মন্ড আল আমিন কিশোর হওয়ায় আগামী ১১ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন কোর্টে তার রিমান্ড শুনানী হওয়ার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর মিজবাহ উদ্দীন আহমেদ। এর আগে বিকেলে তাদের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনির হোসেন ও রাজিব হাসানের আদালতে তোলা হয়।
দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে প্রধান আসামি সারুফ, জাকির ও ডায়মন্ড আল আমিনকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছিলো।
পুলিশ জানায়, আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় কারখানায় কাজে যাতায়াতের সময় ডায়মন্ড আলআমিন বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করতো ভুক্তভোগীদের। গত ৩০ আগস্ট তারা বান্ধবীসহ চাচার সাথে পবনারটেক উত্তরপাড়া সেক্রেটারি হাউজিংয়ে বেড়াতে গেলে সঙ্গীয় চাচাদ্বয়কে মারধরকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে তারা ভুক্তভোগীকে হাত ধরে টেনে হিঁচড়ে ঝোপের মধ্যে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনায় মিমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে ভয়ে ভুক্তভোগীরা এলাকা থেকে আত্মগোপন করে।
কোর্ট ইন্সপেক্টর মিজবাহ উদ্দীন আহমেদ জানান, বিকেলে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনির হোসেনের আদালতে প্রধান আসামী সারুফ স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসানের অপর আদালতে জাকির তার স্বীকারোক্তি দেয়। এ আদালতে ডায়মন্ড আল আমিন কিশোর হওয়ায় তার রিমান্ড শুনানি শিশু ও নারী নির্যাতন কোর্টে হওয়ার রায় প্রদান করেন রাজিব হোসেন।
প্রসঙ্গত, ঘটনায় ধারনকৃত ভিডিও’র দুটি ছবি (স্ক্রীনশট) ফাঁস হলে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক সুদীপ কুমার গোপ, এমদাদসহ পুলিশের কয়েকটি টিম তদন্তে নামে। এক পর্যায়ে ধারণ করা ভিডিওটি উদ্ধার করে সেই ভিডিওর সূত্র ধরে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আজ রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হলে দুইজন স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে ও ডায়মন্ড আল আমিনের রিমান্ড শুনানী আগামি ১১ অক্টোবর হবে বলে রায় প্রদান করে আদালত।
/এন এইচ