আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ

আশুলিয়ায় অবৈধ গ্যাসের লিকেজ থেকে অগ্নিকান্ড, শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ার দূর্গাপুরে অবৈধ গ্যাসের লাইনের লিকেজের থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ১০ বছরের ছেলে  সহ প্রাণ গেলে বাবা ও মায়ের।

মঙ্গলবার (০৭ জুলাই)  বিকেলে অগ্নিকান্ডে দগ্ধ গৃহবধূ ফাতেমা বেগম মারা যান। এর আগে শনিবার (০৪ জুলাই) সকালে দূর্গাপুরে পূর্ব চালা এলাকার শহীদ হাজির মালিকানাধীন বাড়িতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর  শনিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলে আল আমীন (১০) মারা যায়। পরদিন আবুল  কাশেমও মারা যান।

নিহতরা ময়মনসিংহের নান্দাইলের বাসিন্দা আবুল কাশেম ও ফাতেমা বেগম। কাজ করতেন আশুলিয়া এলাকার পোশাক কারখানায়। তাঁদের সঙ্গে ছিল ১০ বছরের ছেলে আল আমীন। গ্যাসের লাইন লিকেজের কারণে অগ্নিকাণ্ডে তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন।

নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের অভিযোগ, ঘটনাটিকে বাড়ির তত্ত্বাবধায়কের অবহেলা ও অবৈধ গ্যাসের সংযোগে লিকেজের কারণে ঘটেছে। তাঁরা ঘটনার তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের দাবি করেছেন। তবে ঘটনার দুই দিন পার হলেও পুলিশ কোনো খোঁজ নেয়নি।

নিহতের স্বজনরা জানান, আশুলিয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর চালা গ্রামের শহীদ হাজির (বাড়িটি হাজিবাড়ি নামে পরিচিত) বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। শনিবার ভোরে ফাতেমা রান্নার আয়োজন করেন। তখন তাঁর স্বামী ও সন্তান ঘুমিয়েছিলেন। যাবতীয় আয়োজন শেষ করে ফাতেমা দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানো মাত্রই বিকট শব্দ করে পুরো কক্ষে আগুন ধরে যায়। ৩ জন গুরুতরভাবে দগ্ধ হন। বিকট শব্দ শুনে স্থানীয়রা এসে অগ্নিদগ্ধ শিশু ছেলে আল আমীনসহ আবুল কাশেম ও ফাতেমাকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে নেয়া হলে কাশেম ও ছেলে আল আমীনের মৃত্যু হয়। ফাতেমাকে এনাম মেডিকেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবারের পক্ষে অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় স্বজনেরা তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার বিকেলে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় তিনি মারা যান।

এ বিষয়ে সাভার এনাম  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের নার্স তানিয়া জানান,  গত  শনিবার (০৪ জুলাই) সকাল ৬ টা ৫০ মিনিটে আবুল কাশেম ও গৃহবধূ ফাতেমা বেগমসহ ১০ বছরের ছেলে আল আমীন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।   তাদের শরীরের প্রায় অংশই পুড়ে যায়।

এ বিষয়ে বাড়ির মালিক ও তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিজাউল হক জানান, এ বিষয়ে আমাদের এখনো কেউ  কিছু জানায়নি। তবে  এমন ঘটনা খুবই দু:খজনক। তদন্ত করে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close