আশুলিয়াদেশজুড়েপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ
আশুলিয়ার শিশু রাজার হত্যাকারী আরিফুলকে ২ মাস পর গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় বাড়িওয়ালার ছেলে রাজা মিয়া (০৯) কে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি আরিফুল ইসলামকে (৩২) পাবনা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যার দুই মাস পর আরিফকে গ্রেফতার করা হলো।
রবিবার (০৬ জুন) ভোরে পাবনা জেলার সুজানগর সদর থানার তারাবাড়ি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেফতার আরিফুল পাবনা জেলার সুজানগর থানার ভাতশালা গ্রামের তফিজ উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার দিনই তার স্ত্রী লিজা আক্তার (২২) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা মার্চের ১ম সপ্তাহে এই বাসার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে পার্শ্ববর্তী পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানায়, ওই দিন সন্ধ্যায় চা খাওয়ার কথা বলে আরিফুল রাজাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ওই শিশুকে হত্যার পর হাত পা বেঁধে বস্তাবন্দী করে বেলকনিতে রেখে বাসা থেকে বের হয় আরিফ। শিশু রাজার বাবাকে ফোন করে আরিফ বলেন ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উত্তরায় যেতে। পরে নিহতের বাবা আরিফুলের স্ত্রীকে আটকে রেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। একই সাথে আরিফুলের স্ত্রী লিজাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।
পুলিশ জানায়, গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় রাজা হঠাৎ করে নিঁখোজ হয়। ঘন্টা দুয়েক পরেই বাবা কালামের মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে অপহরণকারীরা ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। মুক্তিপণ চাইলে ভুক্তভোগীর বাবা থানায় খবর দিয়ে শিশুকে খোঁজাখুজি শুরু করেন। পরে লোকজন বলেন তারই চারতলার ভাড়াটিয়া সন্ধ্যায় রাজাকে দোকান থেকে কি যেন কিনে দিয়ে সাথে করে বাসায় নিয়ে যায়। এর পর থেকেই রাজাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। এসময় আরিফুলের স্ত্রী লিজা বেগমকে রাজার মা ও স্থানীয়রা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওই ফ্ল্যাটের বেলকোনিতে বস্তাবন্দি রাজার মরদেহ রাখা আছে বলে স্বীকার করে। পরে পুলিশ আরিফুলের স্ত্রীকে আটক করে আদালতে পাঠায়। এর দুই মাস পর আজ ভোরে প্রধান অভিযুক্ত আরিফুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক এসআই আল-আমিন জানান, দ্রুত স্থান পরিবর্তনের কারনে আরিফুলকে গ্রেফতারে বেগ পেতে হয়েছে। সে কখনো নারায়নগঞ্জ, কখনো গাজীপুরের মাওনাসহ বিভিন্ন স্থান বদল করছিলো। পরে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করে বিয়ে করেছিলো। বিয়ের রাতেই তাকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরআগে এ মামলায় লিজা বেগম যে নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সে আরিফুলের স্ত্রী ছিলো না। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সে বাসায় বসবাস করতো। রিমান্ড চেয়ে আজ দুপুরেই তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
/আরএম