আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ
আশুলিয়ার শিশু ধর্ষণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গ্রামের বাড়ি থেকে আশুলিয়ায় বাবা-মা’র কাছে বেড়াতে এসে ১১ বছরের মেয়ে শিশু ধর্ষণের ঘটনার ৭ দিন পর ধর্ষককে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষক আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বুধবার(০৮ জানুয়ারি) দুপুরে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে মঙ্গলবার(০৭ জানুয়ারি) রাতে তাকে আশুলিয়ার গকুলনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধর্ষকের নাম কুতরত আলী। বর্তমানে গকুলনগর এলাকায় বসবাস করে ও পোশাক কারখানা চাকরি করে। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর এলাকায়।
তদন্তের দায়িত্বে থাকা আশুলিয়া থানার এসআই মো রকিবুল হাসান জানায়, আমবাগান এলাকায় বাসা ভাড়া খুঁজতে গিয়ে ১১ শিশুকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত কুতরত আলী। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিততে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রকিবুল হাসান আরও জানান, ঘটনার পর কুদরত বাসা পরিবর্তন করে অন্য বাসায় চলে যায়। এদিকে তার পরিবারকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। পরে মঙ্গরবার রাতে কুতরত নিজেও পালিয়ে যাওয়া চেষ্টা করছিলো। মুলত ঘটনা ঘটার আগে আমবাগান এলাকায় কুদরত বাসা খুঁজতে গিয়ে একজনের কাছে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়েছিলো। সেই নম্বরের সূত্র ধরে তাকে চিহৃিত করা হয়।
ঢাকা অর্থনীতি টীমের সাথে কথা হয় সেই রিক্সাচালকের সাথে, যে ঐ বাচ্চাকে ঘটনার পর চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, আমিই ওই বাচ্চাকে নিয়ে মেডিকেলে গেছি। ছোট বাচ্চাটার অবস্থা খুবই খারাপ। এই বাচ্চার বাবাও রিক্সাচালক। আমাদের সাথেই রিক্সা চালায়।
কথা হয় ভুক্তভোগী শিশুর দাদীর সাথে। তিনি বলেন, এই মাসুম বাচ্চার বিচার চাই। আমি আর কিচ্ছু চাইনা এই দুনিয়াতে। তারে(ধর্ষক) যেন যাবজ্জীবনের জন্য শিক্ষা দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকায় ১১ বছর বয়সী এক শিশু অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে ধর্ষণের শিকার হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর মা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
/আরএম