আশুলিয়াদেশজুড়েপ্রধান শিরোনামসাভারস্থানীয় সংবাদ
আশুলিয়ায় রাজার স্ত্রীর ফোনে অপহরণ যুবক: গ্রেফতার এক
নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় যুবককে জিম্মি করে লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন পাতানো বোন। এঘটনায় বৃষ্টি আক্তার নামে একজনকে আটক করেছে র্যাব-৪।
শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার আদালতে পাঠায় আশুলিয়া থানা পুলিশ। এর আগে গতকাল (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটায় আসামী বৃষ্টি আক্তারকে আশুলিয়ার জামগড়া উত্তরপাড়া এলাকা থেকে আটক করে র্যাব-৪। পরে রাতে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তোভুগী রিপন জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার দক্ষিন ঝাউগড়া গ্রামের মোঃ শহিদ মিয়ার ছেলে। তিনি আশুলিয়ার বাবুলের মালিকানাধীন ভাড়া বাসায় থেকে বগাবাড়ী এলাকার প্রাইম কিংকু নামের একটি ফ্যাক্টরীতে চাকরি করতো।
আটক বৃষ্টি আক্তার টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী থানার বানিয়াজান গ্রামের রাজা মোল্লার স্ত্রী। অপর আসামী রিয়াসহ অজ্ঞাত সবাই পলাতক রয়েছে।
ভুক্তোভুগীর বড় ভাই কমল মিয়া এজাহারে উল্লেখ করে বলেন, আমার ভাই রিপন গত দশ মাস যাবৎ পোশাক শ্রমিক হিসেবে চাকরি করে আসছিলো। গত ৩১ জানুয়ারি ভুক্তোভুগী রিপনের সাথে এক অজ্ঞাত মহিলার ফোনে কথাবার্তা হয়। পরে রিপনকে ভাই বলে সম্মোধন করে এবং সেও তাকে বোন ভেবে কথাবার্তা বলে। সেই সুবাদে গত ১ ফেব্রুয়ারি সকাল নয়টায় বৃষ্টি আক্তার ফোনে অসুস্থতার কথা বলে রিপনকে তার বাসায় কৌশলে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রিয়া নামের অপর আসামীসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জন রিপনকে আটকিয়ে রেখে তার পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা দিতে অস্বিকার করলে রিপনকে বেধরক মারধর করে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।
এঘটনায় রিপনের বড় ভাই একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল ১ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টি আক্তারকে আশুলিয়ার জামগড়া উত্তরপাড়া এলাকার হুমায়ুন কবিরের মালিকানাধীন ভাড়া বাসা থেকে বৃষ্টি আক্তারকে আটক করে। উদ্ধার করা হয় ভুক্তোভুগী রিপন মিয়াকে।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আউয়াল হোসেন বলেন, পোশাক শ্রমিক রিপনকে কৌশলে বাসায় ডেকে আনে। পরে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। এসময় তাকে মারধর করে। একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
/এএস