আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ
আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিককে অপহরণ, মুক্তিপণ নিতে এসে গ্রেপ্তার
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সাভারের আশুলিয়ায় মাঠে হাঁটতে গিয়ে জাহিদ ওরফে জসিম নামে এক পোশাকশ্রমিক অপহরণের শিকার হন। তাঁকে আটকে রেখে মারধর করে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার(১২ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আবজালুল হক।
এর আগে শনিবার সকালে আশুলিয়ার সরকার মার্কেট এলাকার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশ থেকে মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার সময় ওই দুই যুবককে হাতে নাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন—আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে রকি আহমেদ (১৯) ও আশুলিয়ার জামগড়া বটতলা এলাকার এমারত হোসেনের ছেলে ইয়ার হোসেন (১৯)। পলাতক রয়েছেন গাজিরচটের বুলেটের ছেলে ময়নুল ইসলাম হৃদয়সহ অজ্ঞাত আরও দুজন।
ভুক্তভোগী পোশাক শ্রমিক জাহিদ ওরফে জসিম লালমনিরহাট জেলা সদরের খোরাগাছ এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। তিনি জামগড়া এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জসিম তাঁর পরিচিত লোকের সঙ্গে রুপায়ন মাঠে দেখা করতে যান। এ সময় কয়েকজন যুবক জসিমকে ‘কথা আছে’ বলে রুপায়ন মাঠের ভেতরে নিয়ে মারধর করে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা নেই জানালে জসিমের কাছ থেকে তাঁর বাবার মোবাইল নম্বর নিয়ে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তাঁরা। পরে জসিমের বাবা থানায় যোগাযোগ করেন। এরপর মুক্তিপণের টাকা নিতে আসলে পরিকল্পনা অনুযায়ী পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়।
এসআই শেখ আবজালুল হক বলেন, ‘পরিবারের দেওয়া ঠিকানামতো মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আমরা উপস্থিত হই। আটক দুজন মোটরসাইকেল নিয়ে মুক্তিপণের টাকা নিতে এসেছিল। আমরা ভুক্তভোগীর স্বজনের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকাও দিই। টাকা পেয়ে পলাতক মইনুল হোসেনকে ফোন করে ভুক্তভোগীকে ছেড়ে দিতে বলে রকি। কথামতো জসিমকে ছেড়েও দেয় মইনুল। তাকে গতকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত রূপায়ন মাঠের একটি পরিত্যক্ত ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। ভুক্তভোগীকে ছেড়ে দিতে বলার পর তাদের আমরা গ্রেপ্তার করি।’
এসআই বলেন, ‘এই চক্রটি সুযোগ পেলে বিভিন্ন মানুষ কৌশলে নিয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে। রিমান্ড আবেদন করে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।’
শেখ আবজালুল হক বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা শনিবার রাতে মামলা হয়েছে। তাদের আদালতের পাঠানো হয়েছে।’
/আরএম