আশুলিয়াস্থানীয় সংবাদ
আশুলিয়ায় তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার; ধর্ষক আটক।
নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী (১০)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক আলমগীর মিয়া (৪০)কে আটক করেছে পুলিশ। নির্যাতনের শিকার ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল ওসিসি সেন্টারের পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) রাতে ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মানিকঞ্জপাড়া এলাকায় থেকে ধর্ষককে আটক করে পুলিশ।
আটক ধর্ষক আলমগীর মিয়া গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার আকন্দপাড়া গ্রামের রহমান মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে ইয়ারপুর ইউপির মানিকগঞ্জপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে মাটি কাটার ভেকুর ঠিকাদারি করেন।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আব্দুস সালাম জানায়, মঙ্গলবার (২১এপ্রিল) রাতে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আশুলিয়ার মানিকগঞ্জ পাড়া এলাকার ধর্ষকের নিজ ভাড়া বাসা থেকে অভিযুক্ত আলমগীর মিয়াকে আটক করা হয়। পরে ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে আটকৃতর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।নির্যাতনের শিকার ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল ওসিসি সেন্টারের পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, গত বৃহস্পতিবার ৯ই এপ্রিল দুপুরে আমাদের প্রতিবেশী রানী নামের এক কিশোরীর সাথে তার মামা আলমগীর মিয়ার বাসায় বেড়াতে যায়। ওই বাসায় যাওয়ার পরে আলমগীর আমার মেয়ে সাথে খারাপ কাজ(ধর্ষন)করে । আমার মেয়ে ভয়ে সেই দিন এই বিষয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই ধর্ষক আলমগীর পুনরায় আমার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেয়। এবং তার হাত ধরে টানা টানি করে তার বাসায় নিয়ে যেতে চায়। এই ঘটনাটি একজন দোকানদার দেখে আমাকে জানায় এবং পরে আমার মেয়ে আগের ঘটনাটি আমাকেসহ আমার পরিবারে লোকজনকে জানায়। পরে আমি এই বিষয়ে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি।এবং ধর্ষক আলমগীরকে পুলিশ আটক করে। আমি এই ঘটনার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
প্রতিবেশী কিশোরী রানী জানায়,আলমগীর মামা আর আমরা এক সময় পাশাপাশি বাড়িতে থাকতাম সে আমাদের পূর্ব পরিচিত তার স্ত্রীর সাথে দেখা করতে ঘটনার দিন তার বাসায় যাই। কিন্তু তার স্ত্রীর বাসায় ছিল না। আমি টয়লেটে গেলে আমার সাথে যাওয়া ওই মেয়েকে মামা অন্য একটি রুমে নিয়ে রুমের দরজা ভিতর থেকে আটকে দিয়ে ধর্ষন করে।পরে আলমগীর মামা আমাদের দুজনকে এই ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়। আমরা ভয়ে কাউকে কিছু বলিনি।