দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
‘আমি মরে গেলেও ৭ কোটি মানুষ দেখবে দেশ সত্যিকার স্বাধীন হয়েছে’
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তরের ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার প্রচ্ছন্ন ঘোষণা দেন। কিন্তু তার আগেও ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত একটি জনসভাতেও স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। সভাতে তিনি না থাকলেও বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলন যেন না থেমে থাকে সেজন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমি মরে গেলেও ৭ কোটি মানুষ দেখবে দেশ সত্যিকার স্বাধীন হয়েছে। তিনি বলেন, হয়তো এটাই আমার শেষ ভাষণ। আমি যদি নাও থাকি আন্দোলন যেন থেমে না থাকে। বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলন যাতে না থামে।’
জনসভায় বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার কথা বলায় উদ্বেলিত মানুষ ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর, গ্রামে গ্রামে দূর্গ গড় : মুক্তিবাহিনী গঠন কর স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে।
একাত্তরের ৩ মার্চ পল্টনে ছাত্রলীগ এবং শ্রমিকলীগের উদ্যোগে এক বিশাল জনসভায় বঙ্গবন্ধু এ আহ্বান জানান। পরদিন ৪ মার্চ দৈনিক ইত্তেফাক এবং আজাদে সভার বিস্তারিত ছাপা হয় ।
নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বঙ্গবন্ধুকে বাংলার স্বাধীকার আন্দোলনের সর্বাধিনায়ক ঘোষনা করা হয় ।
জনসভায় বক্তব্য রাখেন তোফায়েল আহমেদ, শ্রমিক নেতা আবদুল মান্নান এবং ডাকসু নেতা আবদুল কুদ্দুস মাখন। অজ্ঞাত কারনে এদিন আ স ম আবদুর রব বক্তৃতা করেননি। তার বক্তৃতা দেয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু সভায় পৌছে যান।
ড. মোহান্মদ হান্নান তার ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ গ্রন্থে এ ব্যাপারে বিস্তারিত লিখেছেন। তিনি লিখেন, বঙ্গবন্ধু এদিন ভাষণে অফিস আদালতে যাওয়া এবং কর খাজনা দেয়া বন্ধ রাখতে বলেন। রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্রে বিধি নিষেধ আরোপ করলে তিনি তা মান্য না করার নির্দেশ দেন।
বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘দানবের সাথে লড়াইয়ে যে কোন পরিণতিকে মাথা পেতে বরণের জন্য আমরা প্রস্তুত। তেইশ বছর রক্ত দিয়ে এসেছি। প্রয়োজন বোধে বুকের রক্তে গঙ্গা বহাইয়া দেব। তবু সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও বাংলার বীর শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানি করব না ।’
/এন এইচ