বিনোদন
‘আমার নাটক সবাই দেখে, তা না হলে তো সমালোচনা হতো না
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ‘আমার নাটক সবাই দেখে, তা না হলে তো সমালোচনা হতো না। যারা সমালোচনা করছে তারা যদি ১০ পার্সেন্টও হয় তার পরেও আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রাখি। আমি এই ১০ পার্সেন্ট দর্শক কেন হারাব? আমি তাদের মতামতকে সম্মান রেখে যে গালি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, সেখানে বিপ শব্দ ব্যবহার করে পর্বটি নতুন করে আপলোড করব।’
ধারাবাহিকের একটি সংলাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এরই জবাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
জনপ্রিয়তার কারণে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকের চতুর্থ সিজন চলছে। এই সিজনের ৭৭ পর্ব প্রচার হয়েছে। সম্প্রতি প্রচারিত একটি পর্বে অভিনেতা মারজুক রাসেলের মুখে ‘যৌন কর্মীর ছেলে’ সংলাপটি তুমুল আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
ওই পর্বটি ইতোমধ্যে ইউটিউব থেকে সরানো হয়েছে। কাজল আরেফিন অমি বলেন, ‘নাটকের অংশে গালিটিকে অন্যভাবে, অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার হয়েছে। আমি যখন বুঝব আমার দর্শকরা পছন্দ করছে না অবশ্যই সেটা আমি করব না। অন্য দর্শকদের কথা মাথায় রেখে ‘যৌনকর্মীর ছেলে’ সংলাপের পর্বটি প্রাইভেট করা হয়েছে। যারা আজকে খারাপ বলছে তারাও আমার দর্শক। এর আগে তারা আমার ‘ভাইরাল গার্ল’, ‘আপন’ পছন্দ করেছিল।’
অমি বলেন, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট কোন বয়সের দর্শকরা দেখবেন, তা শুরুতেই ডিসিক্লেইমার দেওয়া থাকে। বলা থাকে, এটি অ্যাডাল্ট কনটেন্ট এবং গল্পের প্রয়োজনে কিছু কিছু জায়গায় আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার হবে। যদি কেউ অল্পতে বিব্রত হয়ে থাকেন, তাহলে দেখা থেকে বিরত থাকুন। এর পরেও যদি কেউ তার পরিবার ও বাচ্চাদের নিয়ে নাটকটি দেখেন, তাহলে তার নিজের দায়িত্বে দেখবেন। ’
অনেক গালাগালি ব্যবহার করা কন্টেন্ট রয়েছে, সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া একটি সিনেমায়ও গালি রয়েছে, তাহলে ব্যাচেলর পয়েন্ট নিয়েই কেন মাথাব্যথা? এমনই প্রশ্ন অমির। এই নির্মাতা বলেন, বাংলাদেশে ব্যাচেলর পয়েন্টেই প্রথম গালি ব্যবহার করে হয়েছে? সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া সিনেমায়ও গালি এর চেয়ে বেশি। ওটিটির কনটেন্টে আরো সিরিয়াস গালি ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশের ওটিটি কনটেন্টেও নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। ওগুলো নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই। ’
অমি বলেন, ‘দেশের বড় বড় সম্মানিত পেশার অনেকে আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন, তারা ব্যাচেলর পয়েন্টের পর্বগুলো দেখে উপভোগ করেন। এসব মন্তব্যে আমি অনুপ্রাণিত। কেউ যদি মনে করেন ব্যাচেলর পয়েন্ট তার সঙ্গে যায় না, তিনি দেখবেন না- সিম্পলি এটাই বলতে চাই। ’
ব্যাচেলর পয়েন্ট যখন থেকে জনপ্রিয় হয়েছে তখন থেকেই গুটিকতক মানুষ এর পেছনে লেগেছে বলে জানান অমি। তবে সেসব নিয়ে মাথাও ঘামাতে চান না। এই নাটক তিনি শিক্ষা দেওয়ার জন্য নয়, নিছক বিনোদনের জন্যই বানাচ্ছেন জানিয়ে বলেন, ‘শিক্ষার জন্য নয়, বিনোদন দিতে কাজ করি। নির্মাতা হিসেবে আমার দায়বদ্ধতা আছে। ব্যাচেলর পয়েন্টে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে শক্তিশালী বন্ধুত্ব, বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার দায়িত্ববোধ, ভাইয়ের প্রতি আদর-শাসন দেখাচ্ছি। এসব তো সামাজিক দায়বদ্ধতাও শেখায়, এসব নিয়ে তো কেউ কথা বলে না। সবাই গালি দেখে, কিন্তু গালি তো ভাই আমি দিই নাই, মারজুক ভাই দেয় নাই, দিয়েছে চরিত্রে। একটা চরিত্র তো শুধু ভদ্রভাষার মাধ্যমে ফুটে ওঠে না। তার প্রকৃত চেহারা দেখাতে হলে সে যেমন, তেমনি দেখাতে হবে। ’
ব্যাচেলর পয়েন্টে অভিনয় করেছেন মারজুক রাসেল, মিশু সাব্বির, জিয়াউল হক পলাশ, শিমুল শর্মা, সাবিলা নূর, পারসা ইভানা, ফারিয়া শাহরিন, লামিয়া মিম, মনিরা মিঠু, পাভেল, আবদুল্লাহ রানা, শরাফ আহমেদ জীবন।
/এন এইচ