দেশজুড়ে

আমাদের আবেদন করার কোনো প্রয়োজন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের কয়েকটি ধারা অনুযায়ী নতুন যে ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত। ৩ মে যুক্তরাষ্ট্র নতুন এই ভিসা নীতির বিষয়ে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাইব এই ভিসা নীতির আওতায় জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ করো। কারণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ে যারা একবার জ্বলেছে, এখন জীবিত আছে, তাদের চেহারার দিকে তাকালে বড় দুঃখ পাবেন। আমরা আর জ্বালাও-পোড়াও চাই না।’

৩ হাজার ৮০০ যানবাহন পোড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যদি এই আইনের (ভিসা নীতি) কারণে জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হয়, তা হবে আশীর্বাদ। সুতরাং জ্বালাও-পোড়াও কারা করে? আপনারা জানেন। যারা করে, তাদের সতর্ক হওয়া দরকার। তাদের নেতৃত্বের সতর্ক হওয়া দরকার।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন আজ আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় পূজারি। আমরা এ দেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরাই গণতন্ত্রের মধ্যে সব সময় নির্বাচিত হয়েছি।’

দেশে জনগণের রায়ে সরকার নির্বাচিত না হলে টিকতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারত ও সৌদি আরবের দূতদের বাড়তি নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে কি না, তা জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, বাড়তি নিরাপত্তার জন্য কোনো রাষ্ট্রদূত এখন পর্যন্ত আবেদন করেননি। এ ছাড়া বিদেশি কোনো দেশ এমন অন্যায় কাজ করেনি যে তাদের ওপর হামলা হবে। দেশে নিরাপত্তার কোনো অভাব নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।’

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close