দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

আবারও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির আহ্বান জামায়াত আমিরের

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক :বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘গাছ কাটা পড়েছে, কিন্তু আগাছা রয়ে গেছে। স্বৈরাচার পালিয়েছে, তার দোসররা আছে। প্রয়োজনে দেশটাকে গড়ে তোলার স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে আবারও যুদ্ধ করতে হবে। এ দেশের মানুষ বোকা নয়।’
তিনি বলেন, `এখন আর রাতারাতি কিছু করা যাবে না। ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। এসবের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ। আপনারা প্রস্তুত থাকুন।’
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে চুয়াডাঙ্গার টাউন ফুটবল মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি সমাজ চাই, যে সমাজ হবে দুঃশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত। যেখানে দুর্নীতি সেখানে দুঃশাসন নিশ্চিত। আরও বলেন, এ দেশের জনগণকে বোকা ভাববেন না। এ দেশের জনগণ অনেক সচেতন। রক্ত দিয়ে তারা সচেতন হয়েছে। যদি মনে করেন কালো টাকা আর পেশিশক্তি দিয়ে কিছু করবেন, সেদিন শেষ। জনগণ এই সুযোগ আর কাউকে দেবে না।’
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে শফিকুর রহমান বলেন, যদি দেশ ও মাটির প্রতি টান থাকে এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসেন, তাহলে একা পালিয়ে থাকবেন না। একা থাকার দুঃখ অনেক। দেশে আসেন, কাশিমপুর কারাগারে আপনাদের জন্য ভালো ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তারা দেশের জ্ঞানী, শিক্ষিত, মার্জিত ও অভিজ্ঞ মানুষকে হত্যা করেছে। হাজারো মানুষকে নির্যাতন করেছে। তারা শত শত মানুষকে গুম করেছে, খুন করেছে।মানুষের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে। তারা দেশের সম্পদও লুট করেছে। তারা উন্নয়নের বুলি শুনিয়েছেন। মানুষের কাছে মুখ দেখানোর সৎসাহস তাদের নেই।’
কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন। সভায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার আলী মহসিন, আবু বকর মোহাম্মদ আলী আজম, অধ্যাপক আবুল হাশেম, অধ্যাপক এমডি বাতেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আনোয়ারুল হক, সাবেক নায়েবে আমির আজিজুর রহমান, জেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল, আসলাম অর্ক, শোভন দাস প্রমুখ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সাড়ে ১৫টা বছর আমরা কাজ করেছি চুপি চুপি। কারণ একটি ফ্যাসিবাদ সরকার জামায়াতের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। এভাবে গোটা জাতির ওপর অন্যায় আচরণ করা হয়েছিল। আমাদের নেতাদের আমাদের বুক থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাদের দলীয় কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে দেশটাকে গড়তে চাই। ওরা এই দেশটাকে কঙ্কাল করেছে। আমরা এই দেশের গায়ে চামড়া লাগিয়ে গড়তে চাই।’

Related Articles

Leave a Reply

10 puikių virtuvės patarimų, kurie pakeis jūsų maisto gaminimo būdą! Atraskite naujus receptus ir išmokite, kaip nešvaistyti maisto produktų. Pasimokykite kaip priežiūrėti savo sodą ir pasėti daržoves tąsą metų sezonui. Sužinokite, kaip išnaudoti natūralius ingredientus maisto gamyboje ir kita daugelis naudingų patarimų! Mazāk aizsardzības, vairāk problēmu. Kāpēc viedtālruņa Pro vegetarianą: skanios žirnių sriubos receptas Kada geriausias laikas sodinti ir sekti: ką sako liaudies ženklai? Kodėl profesionalūs šefai Šeši įtikinami priežastys pasirinkti profesionalias remonto paslaugas Kas nutiks Visame virtuvės kvapas: receptas apelsininiai pyragai Ką darysite, jeigu neužsistatysite laikrodžio į vasaros laiką? Nepagalvoti Koks valandas turėtumėte vakarienėti, Gausus ir skanus: greito užkandžio receptas Kurį savaitės dieną negalite pasiskolinti Skani desertas atostogoms ir tiesiog džiaugsmui: kaip Vienas paprastas žingsnis Dortas su Coca-Cola Viščių munas ir jų valgymo gyvenimo Luksinės ir Apsauga ar pažeidimas: ar pavasarį verta Špinatinių blynelių Пагалба для ўсіх: лайфхакі, рэцэпты і карысныя артыкулы пра гарад на вашай гаспадыні
Close
Close