দেশজুড়ে
আবরার ইস্যুতে বিবৃতি দেয়ায় মিয়া সেপ্পোকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ঘটনার ‘বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত’ এবং ‘অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’ চেয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা জাতিসংঘসহ বিদেশি দূতদের ওপর বিরক্ত সরকার।
বৃটিশ হাই কমিশনারের পর জাতিসংঘ দূতকে রোববার (১৩ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেকে নেয়া হয় এবং তাকে কড়া ভাষায় সরকারের অসন্তোষের বিষয়টি জানানো হয়।
ঢাকার তরফে বলা হয়- জাতিসংঘের এমন বিবৃতির কেবলই অনভিপ্রেত। মত প্রকাশের জন্য আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছে বলে জাতিসংঘের বিবৃতিতে যে মন্তব্য করা হয়েছে তা মোটেও সঠিক নয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডাকে সাড়া দিতে ঢাকাস্থ জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো রোববার বেলা ১১টার দিকে সেগুনবাগিচায় হাজির হন। এর পর তাকে মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালকের দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। মহাপরিচালক নাহিদা সোবহান প্রায় ৪০ মিনিট ওই কূটনীতিকের সঙ্গে কথা বলেন। বের হয়ে কোন বাক্য বিনিময় ছাড়াই মন্ত্রণালয় ছেড়ে যান।
পরে সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেন, মূলত দু’টি বিষয় তাকে বলা হয়েছে। প্রথমতঃ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে জাতিসংঘের মন্তব্য সঠিক নয়। কারণ হিসাবে যেটি তুলে ধরা হয় তা হল- চুক্তি নিয়ে অনেকেই কথা বলছেন, সরকার কাউকেই মত প্রকাশে বাধা দেয়নি। তাছাড়া এ বিষয় নিয়ে সরকার ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারসহ বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় এমন বিবৃতি অনাকাঙ্ক্ষিত। দ্বিতীয়তঃ উন্নত বিশ্বে কোনো ছাত্র হত্যার ঘটনায় জাতিসংঘকে কথা বলতে দেখা যায় না। বাংলাদেশের সামান্য ঘটনায়ও বিবৃতি আসে। এটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল বলেই মনে করে ঢাকা।