দেশজুড়ে
আপত্তিকর ভিডিও দিয়ে ব্লাকমেইল, বন্ধুকে পুতে রাখলো মেঝেতে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ প্রায় একমাস আগে নিখোঁজ হয়েছিল কলেজ ছাত্র পল্লব (২০)। এই কলেজ ছাত্রের লাশ গর্ত খুড়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় যশোর সদর উপজেলার জঙ্গলবাঁধাল গ্রামের একটি ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পল্লবের ঘনিষ্ট দুই বন্ধুকে আটক এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পল্লব সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের বিকাশের ছেলে।
কোতয়ালী থানার পরিদর্শক শেখ তাসমীম আলম জানান, গত ১৪ই অক্টোবর নিখোঁজ হয় পল্লব। এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল। জিডির বিষয়টি তদন্ত করে পুলিশ।
শনিবার সকালের দিকে পল্লবের ২ বন্ধু জঙ্গলবাঁধাল গ্রামের জামালউদ্দিনের ছেলে অপূর্ব এবং জগন্নাথপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে ঈশানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সঞ্জিব কুমার মন্ডল।
জিজ্ঞাসাবাদে অপূর্ব স্বীকার করে, পল্লবকে হত্যা করে তার নানা আজিজুর রহমান মাস্টারের জঙ্গলবাঁধাল গ্রামের বাড়ির দক্ষিণপাশের একটি কাঁচাঘরের মধ্যে মেঝেতে গর্ত খুঁড়ে সেখানেই পুঁতে রাখা হয়। দুই বন্ধুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ওই ঘরের মেঝে খুড়ে মৃত দেহ উদ্ধার করেন।
এঘটনায় জড়িত অভিযোগে অপূর্ব ও ঈশানকে আটক করা হয়েছে। এই হত্যা সম্পর্কে তাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর জিডির ঘটনাটি হত্যা মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক তাসমীম আলম।
এদিকে, পল্লব হত্যা সম্পর্কে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ১৩অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে পল্লব একটি মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে তার বন্ধু অপূর্বের বাড়িতে যায়। অপূর্ব তার নানাবাড়িতে থাকে। নানা-নানির অনুপস্থিতিতে সে রাতে তারা ওখানে অবস্থান করে। রাতে তাদের দুজনের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও মোবাইলফোনে ধারণ করে অপূর্ব ও ঈশান।
এরপর ভিডিও দেখিয়ে ব্লাকমেইল করার চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে অপূর্বের ছুরিকাঘাতে সে মারা গেলে তাকে পুঁতে ফেলা হয়। নিহত পল্লব ও তার বন্ধুরা সবাই যশোর সরকারি সিটি কলেজের অনার্সের ছাত্র।
তবে, পুলিশ পরিদর্শক তাসমীম আলম বলেন, কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্ত শেষে বিষয়টি জানা যাবে।
/এএস