দেশজুড়ে
আনুষ্ঠানিকভাবে ঐক্যফ্রন্ট ছাড়লেন কাদের সিদ্দিকী
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সময় যে নীতি ঠিক হয়েছিল, সেই নীতিতে নেই রাজনৈতিক মোর্চাটির নেতারা। জাতির জন্য ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের যে ভূমিকা রাখা দরকার ছিল, তারা তা রাখতে পারেননি। এসব কারণ দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান ‘বঙ্গবীর’ খ্যাত প্রবীণ এই নেতা।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছিল। গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ঐক্যফ্রন্ট সঠিকভাবে চলতে পারেনি।
তার অভিযোগ, ওই নির্বাচনের পর ফলাফল প্রত্যাখান করে সংসদে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন নেতারা; কিন্তু সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ সংসদে যোগ দেন। পরে বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সবাই যোগ দেন। প্রথামে যারা শপথ নেন, তাদের বহিষ্কার করা হয়। পরে বিএনপির নির্বাচিতরা যোগ দিলে তাদের স্বাগত জানানো হয়। নির্বাচনের আগে মনোনয়ন দেওয়ার কথা ছিল ডা. কামাল হোসেনের মাধ্যমে। কিন্তু মনোনয়ন দেওয়ার নেতৃত্ব দিয়েছে বিএনপি। এটা গুরুতর অন্যায় হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর মানুষের দাবি ঐক্যফ্রন্ট সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেনি। হত্যা-ধর্ষণ; এসবের বিরুদ্ধে ঐক্যফ্রন্ট কোনো কর্মসূচিও দিতে পারেনি। এরপর ঐক্যফ্রন্টকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। ঐক্যফ্রন্টের অস্তিত্ব বা ঠিকানা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে জনগণের সব সমস্যায় পাশে থাকার অঙ্গীকারে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নতুন উদ্যমে পথ চলা শুরু করেছে।