ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ২০১৩ সালে একটা শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপনচিত্র করতে গিয়ে চোখে চোখ পড়েছিল বলিউড আর ক্রিকেটের দুই তারকার। সেই থেকে শুরু প্রেমের। সেই প্রেমে এসেছিল বিচ্ছেদও। কিন্তু দুজনের কেউই সেই বিচ্ছেদের যন্ত্রণা সইতে পারেননি বেশি দিন। সেই বিচ্ছেদ ‘ফেভিকল’ হয়ে তাঁদের সম্পর্ককে আরও শক্ত করে জোড়া দিয়েছে। ২০১৭ সালের ৯ ডিসেম্বর ইতালির মিলানে তাঁদের বিয়ের মধ্য দিয়ে অগ্নিসাক্ষী রেখে অমরত্ব পায় তাঁদের প্রেম।
আনুশকা শর্মা বা বিরাট কোহলি উভয়েই ব্যক্তিত্বের দিক থেকে একটু অন্তর্মুখী। কেউই তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেননি। এমনকি বিয়ের পরেও তাঁরা খুব কমই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে জনসম্মুখে কথা বলেছেন। কিন্তু এবার বিরাট কোহলি স্বভাববিরুদ্ধ কাজ করে বসলেন। জানালেন, কীভাবে আনুশকা শর্মা তাঁকে বদলে দিয়েছেন। একজন মানুষ হিসেবে এবং ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনুশকা শর্মা ও বিরাট কোহলির ছবি দেখলে সবাই বলবেন, এটা তাঁদেরও ‘কাপল গোল’। বিরাট কোহলি বর্তমানে ইংল্যান্ডে দলের সঙ্গে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অন্যদিকে আনুশকা শর্মাকে বড় পর্দায় আবার কবে দেখা যবে, সেটি নিশ্চিত নয়। তবে ভারত যখন মাঠে বিশ্বকাপ খেলবেন, তখন দর্শকসারিতে আনুশকা থাকবেন, এটা নিশ্চিত। তাই সুযোগ বুঝে বিরাট কোহলির কাছে একটা অতি উচ্চারিত প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্ন যেকোনো বিবাহিত ব্যক্তির জন্যই কমন। ‘বিয়ের আগের আর পরের কোহলির মধ্যে পার্থক্য কী?
’বিরাট কোহলি সাধারণত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এসব প্রশ্ন এড়িয়ে যান। কিন্তু এবার অবাক করে দিয়ে বিরাট উত্তর দেন। বলেন, ‘আমার মনে হয়, বিয়ের পরের আমি আরও বেশি দায়িত্বশীল। বিয়ের আগেও আমার জীবনে দায়িত্বশীলতা ছিল। কিন্তু সেটা ভিন্ন ধরনের। বিয়ের পরে আমি যেকোনো পরিপ্রেক্ষিত আগেভাগে আর আরও ভালোভাবে বুঝতে পারি। আমার দূরদর্শিতাও বেড়েছে। আর আমি যে আরও বেশি দায়িত্ববান হয়েছি, যেটা মানুষ এবং অধিনায়ক—উভয় দিক থেকেই আমার জন্য খুবই ইতিবাচক পরিবর্তন।’
আনুশকা শর্মাকে সর্বশেষ দেখা গেছে, শাহরুখ খানের বিপরীতে, ‘জিরো’ (২০১৮) ছবিতে। ‘জিরো’ ব্যর্থ হওয়ার পর এখন পর্যন্ত আর কোনো প্রজেক্টে যুক্ত হননি আনুশকা শর্মা।