বিশ্বজুড়ে
আগামী রোববার মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন, ক্ষমতায় কি ফের সু চি?
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মিয়ানমারবাসীর দরজায় কড়া নাড়ছে জাতীয় নির্বাচন। এবারও কি মিয়ানমারের ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন অং সান সু চি? নাকি হতে যাচ্ছে ক্ষমতার পালাবদল? এসব প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে।
আগামী রোববার (৮ নভেম্বর) দেশটিতে হতে যাচ্ছে সাধারণ নির্বাচন।
১৯৬২ সালে সেনাবাহিনী তৎকালীন বার্মার ক্ষমতা দখল করে। ১৯৯০ সালের ২৭ মে সামরিক শাসকদের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে সু চি’র দল জয় পেলেও ২০১১ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনা করে সেনাবাহিনী।
২০০৮ সালে দেশটিতে সংবিধান গৃহীত হয়েছিল। এরপর ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হয় সাধারণ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে বড় জয় পায় সু চি’র দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’ (এনএলডি)। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন সু চি। এমনকি আন্তর্জাতিক আদালতে বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগও ওঠে শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি’র বিরুদ্ধে।
ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে সেনাবাহিনীর শক্ত নিয়ন্ত্রণ থাকায় কখনোই রাজনৈতিক বিতর্ক বন্ধ হয়নি মিয়ানমারকে ঘিরে। ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা।
জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ কোটি ৭০ লাখ। এর মধ্যে ৫০ লাখ ভোট তরুণদের। ক্ষমতাসীন এনএলডি সরকার সাম্প্রতিক সময়ের ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে শক্তি প্রয়োগ করেছিল। ফলে ‘অল বার্মা ফেডারেশন স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে।
শত সমালোচনা আর বিতর্ক সত্ত্বেও এবারের নির্বাচনেও রোহিঙ্গা ও রাখাইনদেরকে অংশ নিতে দেয়া হয়নি। এতে তাদের রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ৫০ বছর সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১০ সালে গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে শুরু করে মিয়ানমার৷ গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি পান শান্তিতে নোবেলজয়ী নেত্রী সু চি।
/এন এইচ