প্রধান শিরোনামবিশেষ প্রতিবেদন
আগামী জুনে সাভারের ট্যানারি শিল্পের শতভাগ কাজ শেষ হবে; শিল্প সচিব
রিফাত মেহেদী, বিশেষ প্রতিনিধি: ২০২০ সালের জুনের মধ্যে সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর শতভাগ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম।
বুধবার দুপুরে সাভারের হরিণধরার চামড়া শিল্প নগরীর হলরুমে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
এসময় শিল্প সচিব আব্দুল হালিম দেশে লবনের কোন ঘাটতি নেই জানিয়ে বলেন, এ বছর পর্যাপ্ত পরিমান লবন উৎপাদন হয়েছে কক্সবাজারে। দেশে ১৬.২১ মেট্রেকটন লবনের চাহিদা থাকলেও দেশে উৎপাদন হয়েছে ১৮.২৪ মেট্রিক টন।
সচিব আরও জানান, শিল্প মন্ত্রাণালয়ের সহযোগিতায় সিইটিপি পরিচালনার জন্য কোম্পানী গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ইতিমধ্যে চলতি বছরের তথ্য অনুযায়ী ১২৩ টি ট্যানারি কারখানা উৎপাদন শুরু করেছে। ১৫৫ টি ট্যানারি কারখানার মধ্যে ১৫৪টি বরাদ্ধ নিয়েছে ।
কঠিন বা সলিড বর্জ্য ব্যবস্থানা বিষয়ে তিনি জানান, চামড়া শিল্পে দুই ধরনের বর্জ্য কঠিন ও তরল বর্জ্য। যদি সঠিক উপায়ে পক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ না করা হলে পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়বে। তরল বর্জ্য সিইটিপির মাধ্যমে পরিশোধন করে নদীতে ফেলা হয়। তবে স্লাজ ও কঠিন বর্জ্যে সংরক্ষনের জন্য জরুরী ভিত্তিতে বুয়েটের ডিজাইনে দুইটি ডাম্পিং ইয়ার্ড আগামী চারমাসের মধ্যে নির্মান করা হবে। পরবর্তী ৬ একর জমিতে স্থায়ী ডাম্পিং ইয়ার্ড নির্মানের কথাও জানানো হয়।
পাশাপাশি কঠিন বর্জ্য থেকে বাই-প্রোডাক্ট ( মানিব্যাগ, চাবির রিং, জুতার ফিতা, লেদার বোর্ড ইত্যাদি) তৈরির জন্য ২ থেকে ৩টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়েছে।বাংলাদেশ টানার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জানান, আগের তুলনা অনেক সমস্যাই সমাধান হয়েছে। চায়না প্রতিষ্ঠানের তাদের মেয়াদ শেষ করে সিইটিপি কঠিত কোম্পানী পরিচালনা করবে। সেক্ষেত্রে আরও সহজ হবে। এছাড়া গত বছর কোরবানি ঈদে চামড়া শিল্প নগরীতে গরু, মহিষ, ছাগল ও বেড়ার প্রায় ৮০ লাখ চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছিলো। আমরা এবার েককারবািন ঈদে আরো বেসি চামড়া সংগ্রহের আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর সর্বশেষ অবস্থা এবং লবণ মজুদ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় গণমাধ্যম কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন ট্যানারির মালিক ও বিসিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।