দেশজুড়ে
আখাউড়ায় পরীক্ষা নয়, জিজ্ঞাসাবাদ করে চলছে করোনাভাইরাস পরীক্ষা !
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দেশের ব্যস্ততম এই স্থলবন্দরটিতে করোনাভাইরাস শনাক্তে রয়েছে শুধুমাত্র থার্মোমিটার ও স্টেথোস্কোপচীনে মহামারী আকারে নোভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর দেখা দিয়েছে তীব্র শংকা। মারাত্মক এই জীবাণু প্রতিরোধে সর্বোচ্চ রোগ প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টে সরকারের পক্ষ থেকে বসানো হয়েছে হেলথ ডেস্ক। ব্যতিক্রম নয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টও। এরই অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে হেলথ ডেস্ক বসানো হয়েছে। তবে নোভেল করোনাভাইরাস পরীক্ষার মতো পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই সেখানে।
সরেজমিনে আখাউড়া স্থলবন্দর চেকপোস্টে গিয়ে দেখা গেছে, করোনাভাইরাস সনাক্তের জন্য সেখানে রাখা হয়েছে মাত্র একটি থার্মোমিটার ও স্টেথোস্কোপ। প্রতিদিন একজন করে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং কমিউনিটি হেলথ প্রোপাইটর এর মাধ্যমে এই হেলথ ডেস্কের এই কার্যক্রম চলছে। পরীক্ষার সরঞ্জাম না থাকায় সন্দেহভাজন যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।মহামারী রোগের ইস্যুতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এমন দায়সারা মনোভাবে অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চেকপোস্টটি দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীরা।
আখাউড়া হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতগামী রাজিব আহমেদ ভূইয়া বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত রয়েছে। ভারত হয়ে চীনে এবং চীন থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসা যাত্রীর সংখ্যাও প্রচুর। কিন্তু মহামারী রোগটি নির্ণয়ে আখাউড়ায় হেলথ ডেস্কের নামমাত্র কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় উপকরণ ছাড়া এমন লোক দেখানো কার্যক্রমের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।
আরেক যাত্রী মামুন মিয়া বলেন, সন্দেহভাজন যাত্রীদের পরীক্ষা না করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি হাস্যকর বলে মন্তব্য করেন তিনি।ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রী দীপ্তি রায় বলেন, কোনো যাত্রীকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ নয়, পরীক্ষা করেই নিশ্চিত হতে হবে।উপকরণের সীমাবদ্ধতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন আখাউড়া স্থলবন্দরে হেলথ ডেস্কের দায়িত্বে থাকা আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল টেকনোলজিস্ট গোকুল চন্দ্র মণ্ডল, নাজমুল আলম ও মাহাবুবুল।
তারা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য তাদের কাছে কোনো ধরনের উপকরণ নেই। তবে, চীন ফেরত কোনো যাত্রীর সর্দি-কাশি থাকলে তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে পরীক্ষা করানো হবে। গত ৩ দিনে এমন কোনো যাত্রী পাওয়া যায়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহআলম জানান, “স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, সব জায়গায় থার্মাল স্ক্যানার মেশিন বসানো সম্ভব নয়। তাই সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যারা সাম্প্রতিক সময়ে চীন ভ্রমণ করেছেন এবং যাদের শরীরে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা গেছে তাদের পরীক্ষা করা হবে।
উল্লেখ্য, আখাউড়া স্থলবন্দরের আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার যাত্রী ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করে থাকেন।
/এন এইচ