আমদানি-রপ্তানীশিল্প-বানিজ্য
আখাউড়ার স্থলবন্দরে রপ্তানি বাণিজ্যে অচলাবস্থা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ভারতে ৭ টি অঙ্গরাজ্য আমদানি কমিয়ে দেয়ার কারনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি কমতে কমতে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। ভারতের ব্যবসায়ীরা আমদানি কমিয়ে দেয়ার কারণে এ অবস্থা বলে অভিযোগ বন্দরের ব্যবসায়ীদের।
এদিকে এ সমস্যা নিরসনে অবস্থায় স্থলবন্দরটির অচলাবস্থা কাটাতে নিষিদ্ধ পণ্য ছাড়া সব ধরনের পণ্য আমদানির দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
দেশের পূর্বাঞ্চলের আন্তর্জাতিক প্রবেশদ্বার আখাউড়া স্থলবন্দর। উত্তর-পূর্ব ভারতের সেভেন সিস্টার খ্যাত, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং অরুণাচল রাজ্যে বাংলাদেশ থেকে প্লাস্টিক সামগ্রী, চিটাগুড়, ক্রাশিং পাথর, সিমেন্ট, শুটকি, হিয়ায়িত মাছসহ অন্তত ৪২টি পণ্য রপ্তানি করা হতো। কিন্তু ২০১৭ সালের মাঝামাঝি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে অন্য রাজ্যগুলোর রেল যোগাযোগ শুরু হয়। ফলে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে সহজে পণ্য পরিবহনের সুবিধা পায় ভারতের ব্যবসায়ীরা। এতে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি অনেকাংশেই কমিয়ে দেয় তারা। এতে আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি বাণিজ্যে এক ধরনের স্থবিরতা নেমে আসে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বলেন, যদি আমদানির সুযোগ দেয়া হয় তাহলে আমাদের ব্যবসা চাঙা হবে। আমরা চাই আমাদের এ বন্দরে ব্যবসার সুযোগ করে দেয়া হোক।
স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা জানান, আখাউড়ার ব্যবসায়ীরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে পণ্য আমদানির অনুমোদন চেয়েছেন। এসব পণ্য আমদানির অনুমোদন পেলে বন্দরটি আবারও চাঙা হবে বলে আশাবাদ এ কর্মকর্তার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রাজস্ব কর্মকর্তা স্থল শুল্ক স্টেশন মো. হারুন অর রশিদ বলেন, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের মতামত দেয়া হয়েছে। যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আখাউড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার রেইনা জানান, আশাকরি আমরাও সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। আমরাও চাই এই বন্দরটি চাঙা হোক।
১৯৯৪ সালে শুল্ক স্টেশন হিসেবে যাত্রা শুরু করে আখাউড়া স্থলবন্দর। ভৌগলিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় ২০১০ সালে এটিকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর ঘোষণা করা হয়।