আমদানি-রপ্তানীশিল্প-বানিজ্য
আকাশপথে পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশ বাজার হারাচ্ছে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: বাংলাদেশ আকাশপথে কার্গো বা পণ্য পরিবহনের বাজার হারাচ্ছে। এতে কার্গো পরিবহন ও হ্যান্ডলিং খাতে আয় অনেক কমে গেছে বাংলাদেশ বিমানের। এজন্য বিমানের বাড়তি ভাড়া ও শাহজালাল বিমানবন্দরের স্ক্যানিং ও গ্রাউড হ্যান্ডলিংয়ের অতিরিক্ত চার্জকে দায়ী করছেন আকাশপথে পণ্য পরিবহনের সঙ্গে যুক্তরা। যদিও কার্গোর বাজার দখলে প্রতিবেশী দেশের অতিরিক্ত কম মূল্যে পণ্য পরিবহনকে দায়ী করছে বাংলাদেশ বিমান।
পণ্যের দাম নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক পরিবহন খরচ। তাই যেখানে ছাড় পান সেখানেই ছুটেন ক্রেতারা। আগে দেশের যেসব রপ্তানি কার্গো পরিবহন হতো শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে সম্প্রতি সেগুলো যাচ্ছে বেনাপোল হয়ে কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে। কিছু পণ্য যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে কলম্বো বিমানবন্দর দিয়ে।
ফলে জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে গেল বছরের একই সময়ের চেয়ে বিমানের কার্গো পরিবহন কমেছে ৩ হাজার ২৩৬ টন। এর প্রভাব পড়ছে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়েও। ফলে আয় কমেছে ৭৩ কোটি টাকা। এজন্য প্রতিবেশী দেশের অসম বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতাকে দায়ী করছে বাংলাদেশ বিমান।
বিমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন বলেন, কলকাতা এয়ারপোর্টে যে কোন কার্গো নেই ফলে যে ফ্লাইট আসছে, তারা যে দামে পাচ্ছে সে দামেও কার্গোগুলো বহন করছে।
তবে ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারদের দাবি, শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহনের খরচ তুলনামূলক বেশি। রয়েছে অবকাঠামো সমস্যাও।
এমজিএইচ গ্রুপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাস দেব বলেন, প্রথমত স্কেনিং চার্জ, দ্বিতীয়ত হ্যান্ডলিং চার্জ সব মিলিয়ে বাংলাদেশে খরচ হয় ১৮-২০ সেন্ট ইউএস ডলারের মত, কলকাতা বা কলম্বোতে ১২ সেন্টে হয়ে যায়।
বিমান সচিব মহিবুল হক বলেন, আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা এখানে সর্বোচ্চ রয়েছে। চার্জ একটু কম বেশি হতেই পারে। একটু ভাল কিছু পেতে গেলে চার্জ বেশি হতেই পারে।
গেল বছরে বিমান কার্গো পরিবহন করেছে ৩৬ হাজার টন। এই সময় বিমান কার্গো পরিবহন ও হ্যান্ডলিং করে আয় করেছে ৬৯৬ কোটি টাকা।
জুলাই থেকে অক্টোবর চার মাসের তুলনামূলক চিত্র :অর্থবছর কার্গো পরিবহন কার্গো পরিবহন ও হ্যান্ডলিং মোট আয়
২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১৩ হাজার ৩২২ টন ২৭০ কোটি টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ হাজার ৮৬ টন ১৯৭ কোটি টাকা।